এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: ডাচ স্থপতি ফ্লোরিয়ান হেইনজেলমান এবং তাঁর নেদারল্যান্ড-ভিত্তিক ডিজাইনার ফার্ম 'শাউ' গ্রামটিকে এক অভিনব গ্রন্থগার উপহার দেবেন বলে স্থির করেন। ইন্দোনেশিয়ার সেই লাইব্রেরি।
গ্রন্থাগার এমনই একটা আকর্ষনীয় জায়গা যা পুরোপুরিভাবে নিঃশব্দ হওয়া খুব প্রয়োজন, যাতে আপনি আপনার কাজে সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করতে পারেন। অনেকেরই মনে থাকতে পারে, পরীক্ষার সময়ে গ্রন্থাগার থাকত 'হটস্পট'। গ্রন্থাগার অনায়াসেই একটা শান্তির জায়গা। আর সেই কারনেই ইন্দোনেশিয়ার বানদুং গ্রাম এক অভিনব গ্রন্থাগার তৈরি করেছে যা আপনি আগে কখনও দেখেননি।
ডাচ স্থপতি ফ্লোরিয়ান হেইনজেলমান এবং তাঁর নেদারল্যান্ড-ভিত্তিক ডিজাইনার ফার্ম 'শাউ' গ্রামটিকে এক অভিনব গ্রন্থগার উপহার দেবেন বলে স্থির করেন। গ্রন্থাগারটি ২০০০ আইসক্রিমের পাত্র দিয়ে তৈরি।
এই আইসক্রিম পাত্রগুলি কিন্তু শুধুই পর পর সাজিয়ে গ্রন্থাগারটি তৈরি করা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, 'বুকস আর দ্য উইন্ডো অব দ্য ওয়ার্ল্ড'। ইন্দোনেশিয়ার ভাষায় 'বুকু আডালা জেন্দেলা দুনিয়া'। এই বাক্যটিকে বাইনারি ল্যাঙ্গুয়েজে (০ ও ১) রূপান্তরিত করে সেই অনুসারে আইসক্রিম পাত্রগুলিকে সাজানো হয়েছে।
হেইজেলমান জানিয়েছেন, তাঁরা এক অনলাইন বিক্রেতার কাছ থেকে ২০০০ বব্যহৃত আইসক্রিম পাত্র আনিয়েছেন গ্রন্থাগারের দেওয়াল তৈরি করার জন্য। এছাড়াও, নষ্ট এবং রিসাইক্লড আইসক্রিম পাত্রও ব্যবহার করা হয়েছে। প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে জমা জলের হাত থেকে ইন্দোনেশিয়াকে বাঁচাতেই এই অভিনব ভাবনা এসেছে। রাতে এই গ্রন্থাগার দেখতে লাগে অপূর্ব।-এবেলা
১৩ আগস্ট, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ