বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৬, ০৫:১২:২৯

যে ১০টি কাজ না করার জন্য আজ থেকে ১০ বছর পরে আপনাকে পস্তাতে হবে

যে ১০টি কাজ না করার জন্য আজ থেকে ১০ বছর পরে আপনাকে পস্তাতে হবে

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক:  যখন মনে হচ্ছে কোনও ভালবাসার সম্পর্ক কোনও কারণে আপনার কাছে অস্বস্তির কারণ হচ্ছে তখন নিছক সম্পর্করক্ষার খাতিরে সেই সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখবেন না। মনকে দৃঢ় করে বেরিয়ে আসুন সেই সম্পর্ক থেকে।

যে সময় একবার চলে যায় তা আর ফেরে না। জীবনেরও সেই একই নিয়ম। জীবনের যে সময় একবার চলে যায় তাকে আর ফিরে পাওয়া যায় না। কাজেই জীবনে পূর্ণমাত্রায় বেঁচে নেওয়াই উচিৎ কাজ। এখানে রইল এমন ১০টি কাজের কথা যেগুলি না করার জন্য একদিন না একদিন, কে জানে হয়ত ১০ বছর পরেই, আপনি আফসোস করবেন:

১. স্বাস্থ্যচর্চা না করা:
স্বাস্থ্যই যে সম্পদ সে কথা কি আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে? কাজেই এখন থেকেই শরীরের দিকে নজর দিন, নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। এর সুফল কিন্তু সারা জীবন পাবেন।

২. টাকা না জমানো:
অল্প বয়সে যখন আমরা আমাদের অভিভাবকদের ছত্রছায়ায় থাকি তখন অর্থের প্রয়োজন থাকে অপেক্ষাকৃত কম। কিন্তু বয়সকালে যখন আপনাকে নিজের দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে তখন আপনার টাকার প্রয়োজন হবে অনেক বেশি। সেই সময়ের কথা ভেবে এখন থেকেই সুবিধা মতো টাকা জমান।

৩. নিজের যত্ন না নেওয়া:
রাত্রে না ঘুমিয়ে কাজ করছেন, খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম করছেন, সিগারেট বা মদ্যপান করছেন মাত্রাছাড়া মনে রাখবেন, শরীরের ওপর এই সমস্ত অত্যাচারের প্রতিশোধ কিন্তু শরীর সময়মতোই নেবে। পরবর্তী জীবনে অসুস্থ জীবনযাপন করার চেয়ে এখন থেকেই যত্ন নিন নিজের।

৪. নিজের প্রিয় কাজগুলি না করা:
জীবনে সামাজিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, জীবনে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিজের ভালবাসার জায়গাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে হবে। যা করতে ভাল লাগে তা যথাসম্ভব করার চেষ্টা করুন।

৫. একটা অর্থহীন প্রেম সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখা:
যখন মনে হচ্ছে কোনও ভালবাসার সম্পর্ক কোনও কারণে আপনার কাছে অস্বস্তির কারণ হচ্ছে তখন নিছক সম্পর্করক্ষার খাতিরে সেই সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখবেন না। মনকে দৃঢ় করে বেরিয়ে আসুন সেই সম্পর্ক থেকে। নাহলে জীবনে একটা সময় আসবে যখন একটা অর্থহীন সম্পর্কের খাতিরে নিজের এবং আপনার সঙ্গীর জীবনের মূল্যবান সময় ও সম্ভাবনাকে নষ্ট করার জন্য আফসোস হবে।

৬‌‌. পরিবারের সঙ্গে যথেষ্ট সময় না কাটানো:
পরিবারের সদস্যদের চেয়ে আপনজন আর কে আছে বলুন। কাজেই কোনও কাজের জন্যই তাঁদের উপেক্ষা করবেন না। তাঁদের সঙ্গে পর্যাপ্ত সময় কাটান। মনে রাখবেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার বয়স যেমন বাড়বে তেমনই বয়স বাড়বে আপনার পরিবারের অন্যদেরও।

৭. অল্প বয়সে বিয়ে করবেন না:
বিয়ের বয়সটা খুব বিবেচনার সঙ্গে স্থির করুন। অকারণে তাড়াহুড়ো করবেন না। কোনও বিশেষ প্রয়োজন থাকলে অবশ্য আলাদা কথা। নতুবা সবদিক বিবেচনা করে যে সময়টাকে বিয়ের পক্ষে ঠিক বলে মনে হবে সেই সময়েই বিয়ে করুন।

৮. বন্ধুদের উপেক্ষা করবেন না:
পারিবারিক সদস্যদের পরেই আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষ তো আপনার বন্ধুরা। তাঁদের উপেক্ষা করবেন না। পরিকল্পিতভাবে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলুন তাঁদের সঙ্গে।

৯. অকারণে উদ্বেগ করবেন না:
উদ্বেগ শুধু যে আপনার কাজের ক্ষতি করে তা নয়, এর ফলে ক্ষতি হয় আপনার শরীর ও মনেরও। পরিকল্পিতভাবে কাজ করুন, উদ্বেগ কমাতে শিখুন। নাহলে ১০ বছর পরে দেখবেন সর্বক্ষণ উদ্বিগ্ন থাকার অপরাধে নিজেই নিজেকে দোষারোপ করছেন।

১০. ক্ষমা চাইতে শিখুন:
যখন আপনি বুঝতে পারছেন আপনি কোনও ভুল করেছেন তখন নির্দ্বিধায় ক্ষমা চেয়ে নিন। নাহলে ১০ বছর পরে দেখবেন মনে গ্লানি জমেছে অনেকখানি।-এবেলা

১৮ আগস্ট, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে