এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : যুবকরাই হলেন সমাজ পরিবর্তনের অন্যতম কাণ্ডারি। সর্দার মুহাম্মদ বাক্স খান মোহর তেমনই একজন প্রতিনিধি, যিনি বর্তমান প্রজন্মের ভেতর থেকেই নেতৃত্বের পর্যায়ে উঠে এসেছেন। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সর্বশেষ নির্বাচনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি জয় লাভ করেন।
বর্তমানে তিনি ক্রীড়ামন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত আছেন। এছাড়া উচ্চশিক্ষা, কারিগরি, গবেষণা, স্কুল শিক্ষা (উচ্চ মাধ্যমিক) ও বিশেষায়িত শিক্ষাজনিত স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন। পেশায় একজন ব্যবসায়ী হলেও নিজের নেতৃত্ব গুণে তিনি মাত্র ২৮ বছর বয়সেই দেশের বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদদের কাতারে আসতে পেরেছেন। ক্রীড়ামন্ত্রী হওয়ার সূত্রে তিনি পাকিস্তানি তরুণদের নিকট তুমুল জনপ্রিয়। আর ব্যক্তিগতভাবে বাইক, হ্যাট, অ্যাডভেঞ্চার ও গাড়িপ্রেমী হওয়ায় তার এই জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম তার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
বয়সে তরুণ হওয়ার কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনিতেই তিনি বেশ অ্যাক্টিভ। মন্ত্রী হওয়ার পর সেটা আরো বেড়ে গেছে। কেননা, তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও তার পেইজে নিয়মিত স্টাটাস আপডেট, ছবি পোস্টসহ নানারকম প্রয়োজনীয় সংবাদের লিঙ্ক শেয়ার করে সবার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। তার ফেসবুক পেইজে প্রায় ৪০০০ মানুষ লাইক দিয়ে রেখেছেন এবং এই সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। গত কয়েকদিনে তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বেশকিছু স্টাইলিশ ছবি পোস্ট করেছেন, যা দেখে তার ভক্তরা তাকে প্রশংসার চাদরে মুড়িয়ে রেখেছেন। গত ১৯ আগস্ট রাত ৯টা ২২ মিনিটে তিনি বিখ্যাত বক্সার আমির খানের সঙ্গে সংঘটিত একটি মিটিংয়ের ছবি আপলোড করেন, যা দেখে ভক্তরা বেশ উচ্ছ্বসিত। তার আগে গত ১৮ আগস্ট রাত ৮টা ৪০ মিনিটে তিনি পাকিস্তানি সংসদদের সাথে অতিবাহিত কিছু সময়ের একটি ছবি তার কভার ফটোতে যুক্ত করেন।
এভাবে তার ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো সবার সাথে তিনি ভাগ করেন বলে অনেকেই এটাকে ইতিবাচক দিক থেকে দেখছেন। এছাড়া গত কিছুদিনের অ্যাক্টিভিটিতে তিনি তার সদ্য কেনা নতুন গাড়িতে বসে একটি ছবি পোস্ট করে সবার কাছে এর ব্যাপারে মতামত প্রত্যাশা করেন। তার ভক্তরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে মতামত জানাতে শুরু করেন। সর্দার মুহম্মদ বাক্স খান মোহর ব্যক্তিগত জীবনে একজন স্টাইলিশ পুরুষ। সাথে নায়কোচিত চেহারা থাকার সুবাদে আশানুরূপভাবেই পাকিস্তানের নারীদের মধ্যে রয়েছে তাকে নিয়ে তুমুল আগ্রহ। নিত্য-নতুন নানারকম ট্রেন্ডিং পোশাকে তিনি নিজেকে অন্যভাবে প্রকাশ করছেন। আর এতেই বোঝা যায় যে, কি এক অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী তিনি। ক্রীড়ামন্ত্রী হওয়ার সুবাদে তিনি পাকিস্তানের ক্রীড়া শাখায় বিপ্লব ঘটিয়ে দেবেন এমনই আশা করছেন তার ভক্ত ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
তবে এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ছিলেন অস্ট্রিয়ার সেবাস্তিয়ান কার্জ। দেশটির নবগঠিত জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান করে নিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী এই রাজনীতিক! পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে অস্ট্রিয়ার সমন্বয় সচিবের পদে ছিলেন কার্জ। এই পদে দায়িত্ব পালনকালে স্কুল ও মুসলিম অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করার জন্য ব্যাপক প্রশংসিত হন তিনি। দেশটির ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস ও রক্ষণশীল পিপলস’ পার্টি (পিপি) জয়ী হয়। পিপলস পার্টির জনপ্রিয় তরুণ রাজনীতিবিদ কার্জ।
এছাড়াও ২০১১ সালে ২৮ অথবা ২৯ বছর বয়সে (সঠিকটি প্রকাশ করা হয় না) দায়িত্ব নেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন। ২০০৪ সালে ৩২ বছর বয়সে ডোমিনিকা’র প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন রুজভেল্ট স্কেরিট।
ভুটানের রাজার সিংহাসনে আসীন হওয়ার সময় জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের বয়স ছিলো মাত্র ২৮ বছর। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে হিনা রাব্বানি খারের দায়িত্ব নেওয়াটিও ছিলো বিশ্বের কূটনীতিক মহলে একটি অন্যতম আলোচনার বিষয়।
২২ আগস্ট ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস