বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৬, ০৪:১৭:৪৩

মেয়েরা বাড়িতে একা থাকলে যে ৬টি কাজ করে থাকে

মেয়েরা বাড়িতে একা থাকলে যে ৬টি কাজ করে থাকে

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: মেয়েরা একা থাকতে হলে প্রথমে কিছুক্ষণ ভয় পেয়ে নেয়, বিশেষ করে যদি সেই একাকীত্ব আসে সন্ধেবেলা। ভয় পাওয়ার সঙ্গত কোনও কারণ থাকে না বেশিরভাগ সময়েই। বাড়িতে একা থাকার মজাই আলাদা। এই একা থাকা মানে অবশ্য কোনও বাড়িতে একেবারে একা একা বাস করা নয়। বরং বাড়ির বা পরিবারের অন্য সদস্যরা চলে গেলে যে একাকীত্ব আসে এ হল সেই একা।

এ এক আশ্চর্য স্বাধীনতা, নিষিদ্ধ আনন্দ প্রায়। এরকম একাকীত্ব রোজ রোজ আসে না। যখন আসে, তখন তার সবটুকু রস নিংড়ে নিতে হয়। কীভাবে এই একাকীত্ব উপভোগ করে মেয়েরা? কী করে তারা যখন  বাড়িতে তারা একা থাকে? 

. প্রথম কিছুক্ষণ ভয় পায় অথবা মন খারাপ করে:
মেয়েরা একা থাকতে হলে প্রথমে কিছুক্ষণ ভয় পেয়ে নেয়, বিশেষ করে যদি সেই একাকীত্ব আসে সন্ধেবেলা। ভয় পাওয়ার সঙ্গত কোনও কারণ থাকে না বেশিরভাগ সময়েই। ভয়টাও অধিকাংশ সময়েই হয় অলৌকিক ধরনের ভূতের ভয়, প্রেতের ভয়, জুজুর ভয়, খোক্কসের ভয়।

এই ভয়ের চোটে গুটিসুটি মেরে কাটে কিছুক্ষণ। কিছু দুঃখবিলাসী মেয়ে আবার এই সুযোগে ‘দুনিয়ায় আমার আপনজন কেউ নেই গো, নাহলে নিষ্ঠুর মানুষগুলো পারত এভাবে আমাকে একা রেখে যেতে?...’ গোছের ঘ্যানঘ্যানে ভাবনা ভেবে মন-টন খারাপ করে কিছুক্ষণ।

. দীর্ঘ সময় নিয়ে স্নান:
‘তাড়াতাড়ি স্নান সেরে নে রে...’ বলে তাড়া দেওয়ার কেউ নেই বাড়িতে। কাজেই যতক্ষণ খুশি সময় নিয়ে শাওয়ারের তলায় দাঁড়িয়ে থাকা যায়। স্নান করতে করতে গান, নাচন-কোঁদন বাধা নেই কিছুতেই। সময়টা কোনও ফ্যাক্টরই নয়। চিৎকার করে গান গাইলেও সেই গান শোনার, এবং শুনে হাসার নে‌ই কেউ।

. তোয়ালে জড়িয়ে বাথরুম থেকে বেরনো:
এ এমন এক কাজ, যা বাড়িতে অন্য কেউ থাকলে করা কিঞ্চিৎ চাপের। কিন্তু বাড়িতে কেউ না থাকলে তো দেখার নেই কেউ। এমনকী বাথরুমের বাইরে বেরিয়ে ঘরের মধ্যে জামাকাপড় বদলালেই বা কে দেখতে যাচ্ছে?

. আয়নার সামনে বহুক্ষণ ধরে সাজগোজ:
বাড়িতে অন্য কেউ থাকলে এই কাজেও বাধা পড়ে। ‘‘কী আছে এত সাজগোজের?’’ ‘‘ তুই কি মিস ইন্ডিয়া হবি না কি রে?’’ ‘‘তোমার মেয়ের তো সারাক্ষণ খালি মেকআপ...’’ বাবা-মা-দাদা-দিদিদের এহেন বাঁকা মন্তব্য ভেসে আসবেই। কিন্তু বাড়ি ফাঁকা থাকলে সেই ভয় নেই একেবারেই।

. রান্নাবান্না, খাওয়া-দাওয়া:
বাড়িতে মা থাকলে রান্নাঘরে ঢোকার পথেও বাধা পড়ে। ‘‘না না, তোর আবার কী দরকার...’’ রান্নাঘরে ঢুকতে গেলেই মায়ের এহেন মন্তব্য মনোবল ভেঙে দেয় অনেকখানি। কিন্তু ফাঁকা বাড়িতে বাধা দেওয়ার কেউ নেই। ফলে রান্নাবান্না নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট, এবং নিশ্চিন্তে খাওয়াদাওয়ার পথ প্রশস্ত। 

. নাচগান:
খাওয়াদাওয়া হয়ে গেলে তারস্বরে গান চালিয়ে যথেচ্ছ নাচনকোদনের পথও একেবারে উন্মুক্ত। কাজেই বাড়িতে কেউ না থাকলে মেয়েরা সেই কাজটি মনের আনন্দে করে থাকে।-এবেলা

২৫ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে