এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : শত বাধা পেরিয়েও দুজনে দুজনার। জ্বলন্ত কাশ্মীরে যেন প্রেমের ফুল। নিজেদের পথ ঠিকই খুঁজেই নিলেন তারা। গত ২ মাস ধরে কাশ্মীরে লাগাতার অশান্তির মধ্যেও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এক যুবতীর সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হলেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টর।
এত হিংসার মাঝেও এ ঘটনা এক ঝলক টাটকা বাতাসের মতো বয়ে গেল কাশ্মীরি উপত্যকাজুড়ে।
গত ২ বছর ধরে বেশ কয়েকবার বিয়ে পেছাতে হয়েছে উপত্যকায় সন্ত্রাসের কারণে।
শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে সাব-ইন্সপেক্টর ওয়েইস গিলানি বিয়ে সেরে ফেললেন মুজফ্ফরাবাদের ফাইজা গিলানির সঙ্গে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিকটাত্মীয় ছাড়া বিশেষ কেউ বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন না। ওয়েইসের বাবা শাবির গিলানিও ছিলেন পুলিশ অফিসার। যিনি ২০১৪ সালে এসএসপি পদে অবসর গ্রহণ করেন।
শাবির জানান, ১৯৪৭ সালে যখন ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ হয় তখন মুজফ্ফরাবাদের অংশ ছিল সীমান্ত সংলগ্ন কারনা গ্রামটি। কিন্তু বিভাজনের পর কারনা পরে ভারতের মধ্যে।
সে সময় শাবির এবং তার বাবা ভারতেই ছিলেন। তাদের পরিবারের বাকিরা ছিলেন মুজফ্ফরাবাদে। শাবির বলেন, আমার ঠাকুরদা যখন মারা যান সে সময় দু' দেশের মধ্যে কোনো যাতায়াত ব্যবস্থা ছিল না।
ফলে বাবা ঠাকুরদার মৃত্যুর সময় উপস্থিত থাকতে পারেননি। আমি ২০১৪ সালে ঠাকুরদার কবরে গিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি। সে সময় পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গেও ফের মিলিত হই। সেখানেই ফাইজাকে দেখি।
পুত্রবধূ হিসেবে ফাইজাকে পছন্দ করার পর ছেলে ওয়েইসকে ফোন করে সম্মতি চান। ওয়েইস 'হ্যাঁ' বলায় বিয়ে পাকা হয়ে যায়।
তবে নানা কারণে অনুষ্ঠান করা যায়নি। গত ২ মাস টানা অশান্তি চলার পর সোমবার থেকে বাস সার্ভিস স্বাভাবিক হওয়ার পর মুজফ্ফরাবাদ থেকে ফাইজা এবং তার কিছু আত্মীয়-স্বজন কাশ্মীরে আসেন। মঙ্গলবার চার হাত এক হয়।
২ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম