শনিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০২:১৬:২৭

মর্তে নেমেই পুলিশের হাতে ধরা এলিয়েন!

মর্তে নেমেই পুলিশের হাতে ধরা এলিয়েন!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আমাদের প্রিয় গ্রহ পৃথিবীর আশপাশে অনেক গ্রহ-উপগ্রহ রয়েছে। সেগুলোতে চলছে প্রাণের সন্ধান। সেই সব গ্রহের পরিবেশ আমাদের গ্রহের মতো প্রাণের জন্য অনুকূল কি না তা মিলিয়ে দেখার কাজও চলছে।
 
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরি এক ঘোষণায় বলেছে, পৃথিবীর খুব কাছেই জীবন ধারণের অনুকূল পরিবেশ সম্পন্ন এক গ্রহ রয়েছে, যা প্রক্সিমা সেঞ্চুরি স্টার সিস্টেমে বিদ্যমান।
 
গবেষকরা একে 'দ্বিতীয় পৃথিবী' বলে অভিহিত করেছেন। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আরেকটি গল্পও ডালপালা ছড়িয়েছে।

সেই ১৯৫০ সাল থেকে এই গল্পের গাছ বেড়ে উঠতে থাকে। আর সেই গল্পের কারণেই ধারণা করা হচ্ছে, খোঁজ পাওয়া নতুন গ্রহটিতে আট ফুট লম্বা মানবসদৃশ প্রাণীর বসবাস রয়েছে, যারা 'কেনস এলিয়েন' নামে পরিচিত।
 
আর এই এলিয়েনরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তাদের গ্রহ থেকে পৃথিবী পরিদর্শন করছেন বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।
 
মূলত এলিয়ন সম্পর্কে প্রথম তথ্য দেন ক্যালিফোর্নিয়ার দুই মনোবিদ। তাদের দাবি, এক সম্মোহিত নারীর মাধ্যমে তারা ওই এলিয়েনের সঙ্গে কথা বলেছেন। ৮ ফুটের সেই এলিয়েন নাকি ৮টি হাতের অধিকারী। সে নাকি অনেক বেশি শিশুসূলভ এবং মিশুক। এরপর এলিয়েনের নামকরণ করা হয়, 'হ্যান্ডস' বা 'হাত'।
 
ওই দুই মনোবিদ এ নিয়ে একটি বইও প্রকাশ করেছেন।  বইটির নাম 'হ্যান্ডস: দ্য ট্রু অ্যাকাউন্ট - এ হিপনোটিক সাবজেক্ট রিপোর্টস অন আউটার স্পেস'।
 
এদিকে সম্প্রতি এক ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে 'হাত'। তাইওয়ানের টাইটাং শহরের জেইমিং লেকের পাড়ে নাকি 'হাত' এলিয়েনদের দেখা মিলেছে।

সেখানে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে দেখতে পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, দেখার পর তারা নিজেদের আইফোনে এলিয়েনের ছবিও ধারণ করেন! সেটি পরে তারা তাইওয়ানের ইউএফও সোসাইটিকে দেন।
 
স্থানীয় দৈনিক তাইপাই টাইমস জানায়, তাইওয়ানের ইউএফও সোসাইটি এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়েছে। তাদের মতে, এলিয়েনের যে ছবিটি পাওয়া গেছে, তাতে তাকে অনেক লম্বা মনে হয়েছে। এর শরীর খুব স্বচ্ছ। হাতের আঙুল নেই।
 
এর আগে এদের সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছিল তাতে বলা হয়, এটির শরীর গম্বুজ আকৃতির ও আট হাত সম্পন্ন বুদ্ধিমান প্রাণী। সম্ভবত এটি মানবিক।
 
ধারণা করা হয়, এর বেশ কয়েকটি হার্ট রয়েছে। আর মানুষের থেকে এরা ৫ গুণ বেশি শক্তি সম্পন্ন। এদের ঘুমাতে হয় না এবং এরা রোগাক্রান্তও হয় না।
 
এদিকে তাইওয়ানের ইউএফও সোসাইটির চেয়ারম্যান জানান, আমাদের হাতে যে ছবি এসেছে, তাতে শতভাগভাবে বলতে পারি না এটি এলিয়েনরই ছবি। তবে যাচাই-বাছাই চলছে। সূত্র: ডেইলি মেইল, যুগান্তর
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে