এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : স্বামী-স্ত্রীর সংসারে আনন্দ-ফূর্তি যেমন থাকে তেমনি আবার বিরহ-ঝগড়াও থাকে। দাম্পত্য কলহ পরিবারে থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হলে অনেক সময় রেগে গিয়ে খুন করেন স্বামী। এ হত্যার অভিযোগে অনেক সময় স্বামীরও ফাঁসি হয়।
এতে পুরো পরিবারেই একটা বিপর্যয় নেমে আসে। তাই রেগে গিয়ে স্ত্রীকে খুন না করে তাকে তালাক দেয়াটাই ভালো। তাতে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই প্রাণ বাঁচে।
শুক্রবার অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।
তিন তালাক প্রথা দেশটির সংবিধানে দেয়া মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করছে এমন যুক্তিতে তা বাতিলের আর্জি জানিয়ে ২৯ জুলাই শীর্ষ আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন ইশরাত জাহান নামে এক নারী।
সুপ্রিমকোর্ট এ ব্যাপারে কোনো রায় বা পর্যক্ষেণ না দিয়ে প্রকাশ্য বিতর্কের পরামর্শ দিয়েছেন বলে আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ প্রেক্ষিতে মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- সমাজ সংস্কারের নামে পার্সোনাল ল'কে নতুনভাবে বানানো যায় না। তা সংবিধানে দেয়া মৌলিক অধিকারকে সংকুচিত করছে, এ যুক্তিতে পার্সোনাল ল'কে চ্যালেঞ্জ করাও সমীচীন নয়।
তিন তালাক প্রথা বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড বলছে, পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে যখন ঝামেলা হয় তখন একে অপরের কাছ থেকে মুক্তি চান।
তখন আইনি ঝামেলা এড়াতে অনেক স্বামীই স্ত্রীকে খুন করার মতো আরও অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করেন। এই পরিস্থিতিতে তিন তালাক প্রথা অনেক ভালো।
মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের দাবি, এতে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই প্রাণ বাঁচে। পুরুষ যেমন তালাক দিতে পারেন, তেমনি নারীরাও খুলা দিয়ে দাম্পত্য সম্পর্ক ভাঙতে পারেন, এমন বিধানও রয়েছে মুসলিম পার্সোনাল ল'-তে। তাই তিন তালাক কোনোভাবেই সংবিধানে দেয়া মৌলিক অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে না।
মুসলিম পুরুষদের বহুবিবাহের প্রথার সমর্থনে মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড বলেছে, বহুবিবাহের ফলে পুরুষরা ভোগলিপ্সা চরিতার্থ থেকে বিরত থাকে। সামাজিক প্রয়োজন ও বংশ রক্ষার জন্যই ওই অধিকার রয়েছে পার্সোনাল ল'-তে।
এ ব্যাপারে সুপ্রিমকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছে।
৩ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম