রবিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৫:৫৪:১৮

জেলবন্দি আসামির প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে তাঁকে কী পাঠালেন প্রেমিক?

জেলবন্দি আসামির প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে তাঁকে কী পাঠালেন প্রেমিক?

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: জেলবন্দি আসামি কিন্তু তা বলে অ্যাডমায়ারের অভাব নেই। জেলে বসে কী পেলেন? জানলে অবাক হতেই হয়!

৩ বছর আগে ১.৫ মিলিয়ন মূল্যের কোকেইন স্মাগলিং করার অপরাধে, মিশেলা ম্যাককোলাম নামে ২০ বছর বয়সি এক যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল পেরুর লিমা এয়ারপোর্ট থেকে। গ্লাসগো শহরের নিকটবর্তী লেনজি থেকে ধরা পড়েছিলেন মিশেলার এক সহযোগী এবং বান্ধবী মেলিসা রেইডও। এই দু’জনকেই রাখা হয় পেরুর জেলে।  

মাদক পাচারকারী মেলিসা রেইড-এর দাবি, জেলে বন্দি থাকাকালীন তাঁদের এক অনুগামী নাকি আটটি বিড়াল ছানা পাঠায় মিশেলাকে। সেই বিড়াল ছানাগুলির আবার নাম রাখা হয়েছে কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারদের নামে।  

২৩ বছর বয়সি মিশেলা ম্যাককোলাম শেষ পর্যন্ত ৩ বছর জেল কাটানোর পরে ছাড়া পেয়েছেন। এই সপ্তাহেই তিনি ফিরে গিয়েছেন তাঁর দেশ, উত্তর আয়ারল্যান্ডে। মিশেলা জানিয়েছেন, শুধু বিড়ালছানা নয়, তাঁর অনুগামীরা জেলে থাকাকালীন তাঁকে ৫০০টি প্রেমপত্র পাঠিয়েছেন।

পেশায় মডেল মিশেলার এমনিতে বেশ ভালোই ফ্যান ফলোয়িং ছিল। কিন্তু কে সেই পাগল ভক্ত যিনি জেলে বন্দি থাকার সময়েও মিশেলার প্রতি নিজের উন্মাদনা প্রকাশ করলেন? সকলের কথা জানা না গেলেও, ৫০০টি প্রেম পত্রের মধ্যে ১০০টি পাঠিয়েছেন জেলেরই এক মনোবিদ চিকিৎসক।

শোনা গিয়েছে তিনি নাকি বিবাহিত। ওদিকে এই চিঠিগুলি তিনি পাঠিয়েছেন বিয়ের প্রস্তাব হিসেবেই। মিশেলা আরও জানিয়েছেন যে চিঠিতে ওই চিকিৎসক লিখেছেন, বিয়ের পরে মিশেলাকে খুব সুখেই রাখবেন তিনি।

মিশেলা তাঁর প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়াতে, ওই চিকিৎসক নাকি তাঁকে ভয়ও দেখান যে ভবিষ্যতে মিশেলা আর কোনওদিনই দিনের আলো দেখতে পাবেন না। যদিও এমন হুমকির প্রতি কোনও গুরুত্ব দেননি মিশেলা।

তিনি আরও বলেছ্নে, জেলের রক্ষীরাও তাঁদের অন্যদের তুলনায় বিশেষ ছাড় দিত। অন্যান্য কয়েদিদের থেকে অনেকটা বেশি সময় কারাগারের বাইরে থাকার সুযোগও দেওয়া হতো মিশেলাদের। সত্যি, যত বড় কয়েদিই হোন না কেন, সুন্দরী হলে ব্যপারই আলাদা।-

৪ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে