এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : কালাহান্ডি, বালেশ্বরের ঘটনা নিয়ে এত চাঞ্চল্যের পরও উদয় হল না মানবিকতা। গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে যেতে রাজি নয় চালক। গেলেও দিতে হবে বেশি টাকা। তাই মৃত শিশুর দেহ নিয়ে হাসপাতালের বাইরেই সারারাত বসে রইলেন মা। ঘটনাস্থল উত্তপ্রদেশের মেরঠ।
সূত্রের খবর, ওই যুবতীর নাম ইমরানা। মেরঠের জেলা হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর আড়াই বছরের শিশুকন্যার। ইমরানা জানিয়েছেন, অ্যাম্বুলেনেসের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য কয়েকঘন্টা ধরে হাসপাতালের ডাক্তারদের অনুরোধ করেন তিনি।
এরপর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন তিনি। কিন্তু অন্য জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে যেতে রাজি হয়নি চালক। এরপর এক বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ইমরানা। প্রায় ৫০ কিলোমিটার যাওয়ার জন্য দেড় হাজার টাকা চায় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক। কিন্তু অত টাকা ছিলই না ওই যুবতীর কাছে। ১০৮ নম্বর হেল্পলাইনে ফোন করে সাহায্য চান ইমরানা। পরদিন সকালে বেশ কয়েকজন তাঁকে একটি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেন।
একদিকে সন্তান হারানোর দুঃখ, অন্যদিকে আর্থিক দুরাবস্থার জন্য দুর্ভোগ-দুই নিয়ে মৃত সন্তানের দেহ আগলে সারারাত হাসপাতালের বাইরে রাস্তায় বসে রইলেন ইমরানা। মিলে গেল উত্তরপ্রদেশের ইমরানার সঙ্গে কালাহান্ডির দানা মাঝির গল্পটা।
হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে ১০ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটেই পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল তাঁর ১২ বছরের মেয়েও। উত্তরপ্রদেশের ঘটনায় আরও একবার নগ্ন হল সমাজের সেই অমানবিক ছবিটাই। -এবিপি আনন্দ
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম