এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : উপমহাদেশের অন্যান্য দেশের মতোই ভারতীয় পরিবারেও বিয়ের অনুষ্ঠান বেশরি ভাগ সময়েই ঝলমলে আর লম্বা সময় ধরে হয়, যেখানে অংশ নেয় পরিবারের সদস্যরা।
তবে এবারই প্রথমবারের মতো একেবারেই অপরিচিত বিদেশি পর্যটকও এ ধরনের বিয়েতে অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
প্রতিদিনের জন্য ৫০ ডলারের বিনিময়ে ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কিনে যেকোনো দেশ থেকে যে কেউ বিয়ের অতিথি হিসেবে অংশ নিতে পারেন।
নাচ-গান ভারতীয় বিয়ের সব সময়ের অনুসঙ্গ। তবে এখানে শুধু ব্যতিক্রম এটাই, এই নাচে অংশ নিচ্ছেন একেবারেই অচেনা কয়েকজন।
অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা রুবিয়া আর স্পেন থেকে আসা লেরি বর বা কনে, কারোই আত্মীয়-স্বজন নন, এমনকি পরিচিত কেউ নন। তারা আসলে এখানে টাকা দিয়ে এসেছে।
ভারতে এটি ওয়েবসাইট-ভিত্তিক নতুন ধরনের একটি ব্যবসা, যার মাধ্যমে বিদেশি পর্যটকরা টিকিট কিনে এরকম বিয়েতে অংশ নিতে পারে। এমনকি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো হাতে মেহেদিও লাগাতে পারে।
এতে খুবই খুশি লেরি। তিনি বলছিলেন, 'প্রথমবারের মতো আমি হাতে মেহেদি লাগিয়েছি। দেখতে খুবই চমৎকার লাগছে। বিশেষ করে এই কারুকাজগুলো খুবই সুন্দর।
‘আমার খুবই ভালো লাগছে। কারণ এখানে এরকম একটি অনুষ্ঠানে, ভিন্ন সংস্কৃতির একটি পরিবারের অংশ হতে পারাটা সত্যিই চমৎকার একটি অভিজ্ঞতা।'
নতুন ধরনের এ ব্যবসার অংশ হিসেবে যেসব দম্পতি তাদের বিয়ের অতিথির জন্য টিকিট বিক্রি করছেন, নিতিন আর নম্রতা তাদের অন্যতম।
তাদের এ উদ্যোগের ফলে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে একেবারেই অচেনা লোকজন টাকার বিনিময়ে ওয়েবসাইটে টিকিট কিনে এ বিয়েতে অংশ নিতে পারে।
এ বিয়ের টিকিট বিক্রি করে নিতিন আর নম্রতা চারশ’ ডলার আয় করেছে। যদিও বিয়ের খাবার এবং খরচের তুলনায় সেটি এমন কিছু বেশি নয়।
নাচ-গানের পর্ব শেষ হওয়ার পর বিয়ের আসল আনুষ্ঠানিকতা যখন শুরু হয়, তখন এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন আরো কয়েকজন বিদেশি অতিথি।
নিউজিল্যান্ড থেকে এসেছেন লুক আর আয়ারল্যান্ড থেকে এসেছেন নিভ এবং জেমস।
জেমস বলছেন, 'আমরা ভেবেছিলাম, এখানে এসে হয়তো আমাদের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, না হলে হয়তো আমাদের উপদ্রুব বলে মনে করা হবে। কিন্তু এটা দেখে ভালো লাগছে যে- তা হয়নি।'
তিনি বলেন, 'এখানে অনেক মানুষ। আয়ারল্যান্ডে ২০০ মানুষ নিয়ে একটি বিয়ের আয়োজন মানেই অনেক বড় আয়োজন। কিন্তু অবাক ব্যাপার, এখানে হাজারের বেশি মানুষ রয়েছে।'
ভারতে নতুন ধরনের এ ব্যবসার ফলে বিয়ে শুধুমাত্র সামাজিক একটি অনুষ্ঠান হিসেবেই নয়, অনেকের জন্য টাকা আয়ের একটি পথও খুলে দিচ্ছে। -বিবিসি
৭ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম