এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: চিন্তুা থেকে মাথাকে মুক্ত করা অসম্ভব। চিন্তাশূন্যতা এক প্রবল সাধনার বিষয়। সাধারণ মানুষ জীবনের হাজার একটা দাবি মিটিয়ে সেখানে পৌঁছতে পারেন না। আর সংসারে থেকে চিন্তাশূন্য হওয়াও কি কাঙ্ক্ষিত? চিন্তা থাকবেই। কিন্তু তাই বলে অবান্তর, অবাঞ্ছিত চিন্তাকে প্রশ্রয় দিয়ে শরীরপাত করার কোনও মানে হয় কি? বিশেষ করে যে অকেজো চিন্তা বার বার ঘুরেফিরে মাথায় পাক খায়?
একই ভাবে, যে চিন্তা অ-সুখের, তা-ও যেন পিছু ছাড়তে চায় না। কাজের সময়ে, ব্যস্ততার ক্ষণগুলিতে পাক খায় সেই মনখারাপ। বিষাদের তরঙ্গ এসে আছড়ে পড়ে। কোনও আশার বাণীই তখন আর কানে লাগে না। মনকে হাজার বুঝিয়েও কাজ হয় না।
এমন পরিস্থিতিতে কী করতে পারেন? হাজার বছরের ভারতীয় পম্পরা জানাচ্ছে, এণন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন মনকে ‘ত্রাণ’ করা। শাস্ত্রমতে, মনকে যে ত্রাণ করে, তার নাম ‘মন্ত্র’। মন্ত্রের বার বার উচ্চারণই চিন্তাকে শুদ্ধ করে। মন্ত্রের শক্তি অসীম। মন্ত্র যখন মনের উপরে দখল নেয়, তখন মনের মধ্যে সঞ্চারিত হয় মন্ত্রের অন্তর্নিহিত শক্তি। তার প্রতাপে দূরীভূত হয় দুশ্চিন্তা।
দুশ্চিন্তা এমনই এক বস্তু, যার কোনও শিকড় নেই। মন্ত্র যখন চিন্তাকে আচ্ছন্ন করে, তখন সেই শিকড়হীন চিন্তা দাঁড়াতে পারে না। মন্ত্র মানে কেবল মাত্র ‘ওঁ নমঃ শিবায়’ বা ‘জয় রাম শ্রীরাম’ নয়, কোনও দোয়া, এমনকী কোনও সংগীত, কোনও কাব্যও হয়ে উঠতে পারে মন্ত্র। মন্ত্রের সঠিক প্রয়োগই একমাত্র দূর করতে পারে অবাঞ্ছিত চিন্তার স্রোতকে। মনকে ভয়শূন্য করে তুলতে পারে, শরীরকে সর্বংসহ করে তুলতে পারে।-এবেলা
১০ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর