সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০২:১৭:০৪

টাকার মালা যেভাবে খরচ করলেন টাঙ্গাইলের বাদশা মিয়া

টাকার মালা যেভাবে খরচ করলেন টাঙ্গাইলের বাদশা মিয়া

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: একটা সময় ছিল নির্বাচনে জিতলে, পরীক্ষায় ভালো ফল করলে কিংবা কোন উদযাপনে মানুষকে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেবার ঘটনা ঘটত। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে দেখা যাচ্ছে, সেই উদযাপনের ধরন-ধারণে এসেছে পরিবর্তন।

সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী বা নির্বাচিত ব্যক্তিকে শুভেচ্ছা জানাতে বা বরন করে নিতে সমর্থক বা কর্মীরা টাকার মালা পরিয়ে দেবার ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কখনো কখনো সেরকম ছবিও দেখা যায়।

ঢাকার কয়েকটি দৈনিকে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত এমন একটি ছাবিতে দেখা যায়, নির্বাচিত হবার পর টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাদশা মিয়াকে পরিয়ে দেয়া হয়েছে টাকার মালা।

জানতে চেয়েছিলাম কত টাকা ছিল সেই মালায়?

মি. মিয়া বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, কয়েকটি দৈনিকে আজই প্রকাশিত হওয়া উপরোক্ত ছবিতে পরানো মালাটিতে প্রায় দশ হাজারের মত টাকা ছিল।


তবে, তার ইউনিয়নের অধীনে মোট ১৭টি গ্রাম রয়েছে, এর কেবল একটিতে ঘুরেই এই মালাটি পেয়েছিলেন তিনি।
নির্বাচিত হবার পরে আরো ছয়টি গ্রামে গিয়েছিলেন তিনি, সেখানেও অনুরূপ টাকার মালা পেয়েছিলেন। তবে সেগুলোতে অত বেশি টাকা ছিল না বলে জানিয়েছেন মি. মিয়া।

ছবিটি ঘিরে হওয়া সমালোচনার জবাবে তিনি বলেছেন, আমি নিজের ইচ্ছায় ঐসব টাকার মালা পরিনি।
"আমার সমর্থক ও কর্মীরা ভালোবেসে পরিয়ে দিয়েছে। আরো কত গ্রামে যেতে পারিনি, তারা রাগ করে বলছে, আপনার জন্য কত টাকার মালা বানিয়ে রাখলাম। আপনি আসলেন না!"
কিভাবে খরচ করেছেন সেই মালা?

মি. মিয়া জানিয়েছেন, যেদিন তিনি টাকার মালা পেয়েছেন সেদিনই ঐ টাকা কর্মীদের খাবার, কোমল পানীয়, প্রচার কাজে ব্যবহার হওয়া মোটর সাইকেলের ভাড়া এবং তেলের খরচ পরিশোধ করে শেষ হয়ে গেছে।
তিনি দাবি করেছেন, মালার একটি টাকাও তিনি বাড়িতে নেননি।

এ বছরের মে মাসের ২৮ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বাদশা মিয়া। আর জুন মাসের দুই তারিখে তাকে ঐ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
তবে, এত পরে এ বিষয়ে সংবাদ হবার কারণ জানতে চাইলে মি. মিয়া দাবি করেন, শত্রুতার কারণে এমনটা হতে পারে।-বিবিসি
১৯ সেপ্টেম্ববর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে