এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ঠিক ২৫ বছর আগে, ১৯৯১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর পাওয়া গিয়েছিল তাকে। অস্ট্রিয়া-ইতালি সীমান্তে আল্পস পর্বতের ১০ হাজার ৫৩০ ফুট ওপরে। দীর্ঘদিন তুষারে চাপা পড়ে থাকা মানুষটির নাম দেওয়া হয় ওয়েটজি, কারণ দেহটি পাওয়া যায় আল্পসের ওটজাল এলাকায়।
সেই থেকে আজ পর্যন্ত ওই সময়ের মানুষদের সম্পর্কে অনেক তথ্যই বিজ্ঞানীদের দিয়েছেন ওয়েটজি। ২৫ বছর আগে পাওয়া তার মমি বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা ক্রমাগতই নতুন তথ্য পাচ্ছেন।
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ৩৩৫০ থেকে ৩১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ—এই সময়ের মাঝামাঝি কোনো সময়ে ওয়েটজি তিরবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। প্রায় ৫০০০ বছর আগের এই মৃত্যুর বিষয়ে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা আগে সে পেট ভরে পাহাড়ি হরিণের ঝলসানো মাংস খেয়েছিল। ওয়েটজির পেটের ওই খাবারের চিহ্ন বিশ্লেষণ করে তখনকার মানুষের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
গবেষকেরা বলছেন, মিসরীয়রা মমি করার আগে মৃতদেহ থেকে নাড়িভুঁড়ি ও মাথা থেকে মগজ বের করে ফেলত। কিন্তু ওয়েটজি বরফের নিচে পড়ে থাকায় তার পুরো দেহ অবিকৃত রয়েছে। এতে নতুন তথ্য পাওয়া সহজ হচ্ছে।
ইউরাক ইনস্টিটিউট অব মমিজ অ্যান্ড দ্য আইসম্যান ইন বোলৎসানোর পরিচালক আলবার্ট জিঙ্ক বলেন, এই মমিটির পাকস্থলীতে পাওয়া ব্যাকটেরিয়া গবেষণার মাধ্যমে চিকিৎসাবিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হতে পারে।
আজ সোমবার বোলৎসানো জাদুঘরে এক বিশেষ মমি প্রদর্শনীতে ওয়েটজির পাকস্থলীতে পাওয়া ব্যাকটেরিয়া গবেষণার সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরবেন বিজ্ঞানীরা।
জাদুঘরের পরিচালক অ্যাঞ্জেলিকা ফ্লেকিংজার বলেন, ‘এটি মানবেতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মমি আবিষ্কারগুলোর একটি। প্রাগৈতিহাসিক যুগের দিকে চোখ রাখার এক অনন্য জানালা এটি। অবিশ্বাস্য পরিমাণ তথ্যের উৎস।’ -এএফপি
২১সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম