শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০২:৫৯:২৬

এই মহিলা একদিনের প্রধানমন্ত্রী হলে আজ বদলে যেত ভারত!

এই মহিলা একদিনের প্রধানমন্ত্রী হলে আজ বদলে যেত ভারত!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সুপারমডেল মধু সাপ্রেকে মনে আছে?

ভারতের আমজনতা মধু সাপ্রেকে অন্যভাবে মনে রেখেছে। সময়টা ছিল ১৯৯৫ সাল। মিলিন্দ সোমন আর তার তখনকার বান্ধবী মধু সাপ্রে প্রবুদ্ধ দাশগুপ্তর জুতোর বিজ্ঞাপনে শ্যুট করে বিতর্কের ঝড় তুলে দিয়েছিলেন।

মুম্বাই পুলিশের সোশ্যাল সার্ভিস ব্রাঞ্চের তরফ থেকে কেস রেজিস্টার করা হয়েছিল। মিলিন্দ আর মধু সম্পূর্ণ বিবস্ত্র ছিলেন বিজ্ঞাপনটিতে। পায়ে জুতো আর গলায় জড়ানো একটা পাইথন। ‘ওয়াইল্ড প্রোটেকশন অ্যাক্ট’-এর অন্তর্গত কেস করা হয়েছিল অবৈধ ভাবে পাইথন ব্যবহার করার জন্য। মধু সাপ্রেকে এভাবেই মনে রেখেছে ভারতবাসী।

মনে রাখিনি ১৯৯২-এর মিস ইউনিভার্স প্যাজেন্ট শোয়ে মধু আঁধারে আলো ফেলেছিলেন। সেদিন তিনি যা বলেছিলেন, তা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।

১৯৯২-এ ঠিক কী বলেছিলেন মধু? সেবার মিস ইউনিভার্স প্যাজেন্ট শোয়ে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে নেমেছিলেন এই সুপারমডেল। তার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। মধুর উত্তর পছন্দ হয়নি বিচারকদের। মধুকে উপহাস করা হয়েছিল সংবাদমাধ্যমে।

কী প্রশ্ন করা হয়েছিল মধুকে? বিচারকরা মধুর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, একদিনের জন্য তাকে প্রধানমন্ত্রী করা হলে তিনি কী করবেন? জবাবে মধু বলেছিলেন, ‘দেশের জন্য আন্তর্জাতিক মানের একটি স্টেডিয়াম আমি তৈরি করতে চাই।’
 
মধু নিজেও ছিলেন ক্রীড়াবিদ। দেশের ক্রীড়া পরিকাঠামোর হতশ্রী চেহারাটা তাই খুব ভালই জানতেন। ভাল স্টেডিয়াম হলে, আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামো হলে ক্রীড়ামানচিত্রে ভারতের ভাবমূর্তি ভাল হবে। অলিম্পিক্সের মতো আসর থেকে আরও বেশি পদক জিততে পারবে ভারত।

এই কারণেই ১৯৯২-এ মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিকনির্দেশ করেছিলেন তিনি। বুঝতে পারেননি তিনি উপহাসের কারণ হয়ে উঠবেন।

দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে অনেকগুলো বছর। রিও অলিম্পিক থেকে ভারতীয় অ্যাথলিটরা ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন দেশে। কেবলমাত্র দুটো পদক এসেছে ভারতের ঝুলিতে। ১৯৯২-র ছবিটা এতটুকুও বদলায়নি এই ২০১৬-তেও।

দীপা কর্মকারের আগরতলায় ঠিকঠাক পরিকাঠামো নেই। অলিম্পিকের ঠিক মাস তিনেক আগে নয়াদিল্লির সাইয়ে এসে তিনি অনুশীলন করেন। মহিলা কুস্তি লড়বে, এমন কথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় সাক্ষী মালিকের গ্রামের মানুষের। পিভি সিন্ধু সেই ছেলেবেলা থেকে গোপীচন্দের অ্যাকাডেমির ছাত্রী।

সাক্ষী, দীপা, সিন্ধুরা বাকিদের থেকে প্রতিভায় অনেকটা এগিয়ে। তাদের দেখে দেশের সার্বিক ছবিটা বিচার করা ঠিক নয়। সিন্ধু-সাক্ষীরা সিস্টেমের ফসলও নন। তারা ব্যতিক্রম। সার্বিক ভাবে দেশের ক্রীড়াপরিকাঠামোর উন্নতি না-হলে অলিম্পিকের মতো আসরে পদক জেতা সম্ভবই নয়।

সেদিন তা হলে মধু সাপ্রেকে কেন উপহাস করা হয়েছিল? তিনি তো ভারতবাসীকে আলোর সন্ধানই দিয়েছিলেন। - এবেলা

২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে