শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০১:০৩:২০

যে দশ জায়গায় ইসলামি পোশাক নিষিদ্ধ

যে দশ জায়গায় ইসলামি পোশাক নিষিদ্ধ

নূসরাত জাহান : অনেক দেশেই এখন বোরখা নিষিদ্ধ। তালিকায় পিছিয়ে নেই মুসলিম দেশও। বিভিন্ন সময়ে বোরখা পরে বিভিন্ন জায়গায় বোমা হামলার কারণেই এই নিষেধাজ্ঞা। তবে এই নিষিদ্ধের তালিকায় এগিয়ে থাকা ১০টি অঞ্চলের কথা জানা যাক এবার-

ভিরাল্লো স্যাজিয়া, ইতালি:
সম্প্রতি ইতালির ভিরাল্লো স্যাজিয়া শহরের মেয়র ‘বুরকিনি’র (মুসলমানদের সাঁতারের পোশাক) ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

বেলজিয়াম:
২০১১ সাল থেকে বেলজিয়ামে বোরখা নিষিদ্ধ। সেখানকার আইন অনুযায়ী বোরখা পরলে জরিমানাসহ ৭ দিনের জেলও হতে পারে।

স্ট্রাভাপুল, রাশিয়া:
রাশিয়ার স্ট্রাভাপুল শহরে প্রায় ২.৭ মিলিয়ন লোকের বাস। এর ১০ শতাংশ মুসলমান। যদিও এর সংখ্যা অনেক বেশি তবুও এই শহরের সব স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নেদারল্যান্ডস:
নেদারল্যান্ডস এখনও বোরখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেনি কিন্তু এর প্রক্রিয়া চলছে। সেই সাথে আইন না মানলে থাকছে উচ্চ অর্থদণ্ড।

ক্যামেরুন:
২০১৫ সালে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন বোকোহারামের ২টি আত্মঘাতী হামলার পর উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের সরকার পুরো মুখ ঢেকে বোরখা পরা নিষিদ্ধ করেছে। ওই হামলা দুটোয় ১৩ জন নিহত হয়।

রেওস, স্পেন:
২০১৪ সালে রেওস শহরে বোরখা ও হিজাব পরার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যদিও স্পেনের সংবিধানে থাকা ধর্মীয় স্বাধীনতার নিয়ম অনুযায়ী এই আইন কাজ করবে না।

ফ্রান্স:
ইউরোপে সর্বপ্রথম ফ্রান্স বোরখার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ২০১৫ সালে প্রায় ১৫০০টি অর্থদণ্ডের ঘটনা ঘটে বোরখা পরার কারণে।

মিশর:
মিশরের সরকার বর্তমানে একটি আইন করার কাজ করছে যাতে বোরখা বা হিজাব জাতীয় কোনও পোশাক পাবলিক প্লেসে পরা যাবে না।

চাদ:
২০১৫ সালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় প্রায় ৩৫ জন নিহত হওয়ার পর চাদে বোরখার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

সিরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়:
শুনতে অবাক লাগলেও সিরিয়ায় ২০১০ সাল থেকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আছে বোরখা ও হিজাবের ওপর। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কেউ হিজাব বা বোরখা পরে থাকতে পারবে না। -জাগো নিউজ।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে