মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৫:০৮:৩৮

তখনই বুঝবেন আপনি ভীষণ ‘চিন্তাগ্রস্ত’

তখনই বুঝবেন আপনি ভীষণ ‘চিন্তাগ্রস্ত’

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক:  সদ্য পড়াশুনা শেষ করেছেন সাবিহা। পরিবারের সঙ্গে অনেকটা যুদ্ধ করেই পড়াশুনায় নিজেকে টিকিয়ে রেখেছেন তিনি। ‘স্বপ্ন’ বড় ব্যাংকার হবেন, সমাজে এলিট পার্সন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন। সেই ‘স্বপ্ন’ নিয়েই ভর্তিও হয়েছিলেন দেশের প্রথম সারির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। শেষ করেছেন বিবিএ ও এমবিএ।

এদিকে মেয়ের পড়াশুনা শেষ। তাই পরিবারে নানা জায়গা থেকে ঘটা করে আসছে বিয়ের প্রস্তাব। বেশির ভাগই চোখে পড়ার মতো ভালো পরিবারের। তাই পরিবার চাচ্ছেন না সমন্ধ গুলো হাতছাড়া করতে। কিন্তু  এ মুর্হুতে বিয়ের পীড়িতে পা দিলে কি আদৌ ‘স্বপ্ন’ পূরণ হবে তার? এ নিয়ে দ্বিধায় সাবিহা। নাওয়া খাওয়া প্রায়ই বন্ধের পথে।  

এদিকে নানা জায়গায় চাকুরির জন্য বায়োডাটা পাঠিয়েও পাচ্ছেন না কাঙ্খিত রেসপন্স। কি করবেন, কি হবে, স্বপ্ন কি তাহলে মরিচীকায় পরিণত হবে? এই ভেবে দিন পার হচ্ছে তার।

আসলে চিন্তা একটি রোগের নাম। সাবিহার মতো আমারাও নানা কাজ নিয়ে চিন্তায় মগ্ন থাকি। এই কাজটিতে কি সফল হতে পারবো, ওই কাজটি কি পারবো? এই চিন্তা। বাড়িতে নানা কাজ নিয়ে চিন্তা আর যারা অফিস কিংবা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন তাদের তো নানা চিন্তা। আর তা বেড়ে গিয়ে হয়ে যায় দুশ্চিন্তা। যা আপানকে হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপসহ নানা রোগে আক্রান্ত করে ফেলে। আপনি যদি নিজে থেকে একটু সচেতন হোন তবে চিন্তাকে দুশ্চিন্তায় রূপ নেয়া থেকে বিরত রাখতে পারেন।

সব কিছুতেই বিষাদ
আমার ভালো লাগে না। আমি পারবো না। অনেকের মধ্যে এই প্রবনতা যখন দেখা যাবে আপনি সুনিশ্চিত তিনি কোন বিষয় নিয়ে নিজেকে গুটিয়ে ফেলেছেন। ব্যর্থ হতে হতে তার মনে ঠাঁই হয়ে আমি আর পারবো না। আমি এখানেই শেষ।

ক্লান্তি
আপনি অল্প কাজ করেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? আপসি দুশ্চিন্তায় থাকার ফলেই এটি হচ্ছে। এই দুশ্চিন্তা আমাদের শরীরের মাংসপেশি সঙ্কুচিত করে ফেলে। স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে বাঁধা দেয়। যা আপনার মাথাব্যথা এবং নানা রোগের কারণ। এর কারণে আপনার শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি সঞ্চালিত হতে পারেনা। ফলে আপনি অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন।

ঘুমাতে না পারা

সকাল ছয়টা আপনার উঠা জরুরি। কারণ আগে থেকেই আপনার ট্রেনের টিকিট কাটা হয়ে গেছে। কিন্তু যে না টাইম ধরে ঘুমাতে যাচ্ছেন ব্যাস সব শেষ। এক ঝাঁক চিন্তা এসে আপনাকে গ্রাস করে ফেলল। হাই হুতাশ করে সারা রাত কাটিয়ে দিলেন। এছাড়া প্রায় সব বয়সের মানুষই কম বেশি এই না ঘুমানোর রোগে ভোগেন। আর এর পিছনের কারণ দুশ্চিন্তা। আপনার অজান্তে মনে জমে যাওয়া চিন্তাগুলো যখন একত্রিত হয় তখনি তা রূপ নেউ দুশ্চিন্তায়। যখনই এমন চোখের পাতা থেকে ঘুম উড়ে যাবে বুঝে নিন আপনি দুশ্চিন্তা রোগে আক্রান্ত।

সব সময় অসুস্থ থাকা
আপনি যখন কোনো বিষয় নিয়ে বার বার ভাববেন দেখবেন আপনি আপনার শরীরে নানা রোগের লক্ষণ টের পাচ্ছেন। শরীর দুর্বল থাকা তার মধ্যে অন্যতম। আর এই দুর্বলতা দুশ্চিন্তারই অংশ। আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এই দুশ্চিন্তার কারণে। তাই দুশ্চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন আর সুস্থ থাকুন।

আনমনে থাকা
যখন আপনি খুব দুশ্চিন্তায় থাকেন তখন আপনার মন কোথাও স্থির থাকবেনা। আপনার কাজে মন বসবেনা। আপনাকে হয়তো কেউ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছে কিন্তু আপনার তাতে কোনো খেয়ালই নেই। এমন হলে বুঝে নিন আপনি দুশ্চিন্তায় ভুগছেন।

২৭ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে