আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এদিকে পাক-ভারত সীমান্তে প্রবল উত্তেজনা। একদেশ অপর দেশকে কিভাবে জবাব দেবে সে চিন্তায় মগ্ন থাকার কথা। । তবে তা নিয়ে দিন রাত বৈঠক করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু’-দেশের মধ্যে সম্পর্ক যখন ক্রমশ খারাপ হচ্ছে, তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারতের নরেন্দ্র মোদী অথবা পাকিস্তানের নওয়াজ শরিফ, দু’জনেরই সামনে থেকে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা। কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ কী করছেন জানেন?
গত সোমবার লন্ডন নিবাসী শোয়েব তইমুর নামে পাকিস্তানের এক ডেটা-সায়েন্টিস্টের করা একটি টুইটের পর থেকেই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। টুইটে তিনি দাবি করেন, লন্ডনের বিখ্যাত শপিং মল হ্যারোডস-এ কেনাকাটা করছেন নওয়াজ শরিফ। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী যখন একটি নামী ব্র্যান্ডের জুতো কিনতে ব্যস্ত ছিলেন, সেই সময়ে পাকিস্তানি এক মহিলা নওয়াজ শরিফের ছবি তুলতে গেলে পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন বলেও অভিযোগ করেন তইমুর। ওই ডেটা সায়েন্টিসের দাবি, একটি হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে তিনি জানতে পারেন, নওয়াজ শরিফের ছবি তোলার চেষ্টা করলে প্রথমে ওই পাকিস্তানি মহিলাকে বাধা দেওয়া হয়। তার পরে ওই মহিলার সঙ্গে অভব্য আচরণও করে পাক প্রধানমন্ত্রীর দেহরক্ষীরা। শুধু তাই নয়, মহিলার থেকে তাঁর মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেওয়া হয়। এমনকী, তাঁকে পাক হাইকমিশনে ডেকে পাঠিয়ে জিঞ্জাসাবাদও করা হয়। কিন্তু তাঁর ফোনটি ফেরত দেওয়া হয়নি।
দেশ যখন সঙ্কটে, তখন শরিফ কীভাবে লন্ডনে কেনাকাটা করেন, তা নিয়ে পাকিস্তানের বিরোধী পক্ষও সরব হয়েছে। প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং তহরিক-এ-ইনসাফ দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘দেশ যখন বিপদে তখন নওয়াজ শরিফ বিদেশে ছুটি উপভোগ করছেন।’ ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা যখন চরমে পৌঁছেছে, যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধের আশঙ্কায় প্রহর গুণছে দুই দেশ, তখন কীভাবে শরিফ বিদেশে কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকেন তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকেই মজা করে বলছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীই যদি পরিস্থিতির বিচার করতে না পারেন, তাহলে আর পাকিস্তানের থেকে কীভাবে দায়িত্বশীল রাষ্ট্রের মতো ব্যবহার আশা করা যায়?-এবেলা
২৮ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর