এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : পুজোয় স্ত্রী, ছেলে-মেয়েদের জামা কাপড় কিনে দিতে না পেরে দিঘায় এসে আত্মহত্যা করলেন পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার এক বাসিন্দা। বছর খানেক ধরেই ব্যবসা ভাল চলছিল না। অভাবের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন হাওড়ার বেণীমাধব মুখার্জি লেনের বাসিন্দা সুরজিৎ মালো।
পাওনাদারদের ক্রমাগত তাগাদা তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। তার উপরে পুজোর সময়ে অভাব অনটনে বাড়ির ছেলেমেয়েদের অন্যান্য বছরের মতো জামাকাপড় কিনে দিতে পারেননি। এই দুঃখেই আত্মহত্যা করেছেন সুরজিৎ। এমনটাই দাবি সুইসাইড নোটে।
শনিবার বিকেলে ব্যবসার কাজ আছে বলে বাড়ি থেকে দিঘা আসেন সুরজিৎ। রবিবার সকালে হোটেলের কর্মীরা সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সুরজিতের দেহ দেখতে পান। ঘটনাস্থলে যায় দিঘা থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর পরে আমার দেহের অঙ্গগুলি যদি কারও কাজে লাগে তবে যিনি নেবেন তার কাছে আমার একটাই আবেদন, আমার ছেলেমেয়েদের মুখে দু’মুঠো অন্ন তুলে দেবেন যদি আপনার ইচ্ছা হয়। মা দুর্গা আপনার কৃপা করবেন। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। দেনার জর্জরিত হওয়ার কারণে আমি ইহলোক ছেড়ে চললাম।’ এবেলা
২ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি