এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : নতুন আবিস্কারের জন্য উত্তর-পূর্ব হিমালয়ের উত্তুঙ্গ পার্বত্য ও অরণ্যসঙ্কুল অঞ্চলে গত পাঁচ বছর ধরে বৈজ্ঞানিক অভিযান চালিয়েছেন ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের বিজ্ঞানীরা৷ অভিযান শেষে ঝুলি ভর্তি করে ফিরলেন তারা। এই অভিযানের ফলে প্রাণী ও উদ্ভিদ মিলিয়ে ২০০-এর বেশি প্রজাতির সন্ধান মিলেছে৷
নাক থ্যাবড়া, রঙ ধূসর৷ হিমালয়ের এই অঞ্চলেই বৃষ্টি পড়লেই ফ্যাঁচ ফ্যাঁচ করে হাঁচতে শুরু করে এমন এক প্রজাতির বানরের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ খোঁজ মিলেছে উজ্জ্বল নীল এক মাছের৷ জলের বাইরে নিয়ে এলেও অন্তত চার দিন স্বচ্ছন্দে বেঁচে থাকতে পারে এই প্রজাতির মাছ৷ ডাঙায় তুললে হাঁটতেও পারে কোনওক্রমে৷
এখানেই শেষ নয়, সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বর্শার মতো তিন কোণা মাথাওয়ালা এক ধরনের সাপেরও৷ গায়ের রঙ এমনই উজ্জ্বল এবং শরীরে এমন এক আস্তরণ রয়েছে এই সাপের যে কুণ্ডলী পাকিয়ে যখন এরা পড়ে থাকে, তখন দেখে মনে হয় যেন কোনও ঝকঝকে পাথরের টুকরো৷
উত্তর-পূর্ব হিমালয়ের নেপাল, ভুটান ও ভারতের অরুণাচলপ্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে গত পাঁচ বছরে বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন ১৩৩ রকমের উদ্ভিদ, ২৬ রকমের মাছ, ১০ রকমের উভচর, সরীসৃপের একটি, পাখির একটি ও স্তন্যপায়ীর একটি প্রজাতির সন্ধান৷
এর আগে এই প্রজাতিগুলির অস্তিত্বের কথা জানাই ছিল না বিজ্ঞানীদের৷ এই আবিষ্কারের মধ্যে বিজ্ঞানীদের নজর সবচেয়ে বেশি করে পড়েছে বর্ষায় হাঁচতে থাকা থ্যাবড়া নাকের বানরটির ওপর৷
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বানরটির নাকটি প্রায় নেই বললেই চলে৷ এর ফলে বৃষ্টি শুরু হতেই জলের ফোঁটা তাদের নাকের ফুটোয় ঢুকে যায় সহজেই৷ এই কারণেই তারা গোটা বর্ষাকাল হেঁচে হেঁচেই কাটায়৷ এই অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে বাঁচতে বর্ষায় তারা দুই হাঁটুর মধ্যে মাথা গুঁজে বসে থাকে৷
ডব্লুডব্লুএফ-এর পক্ষ থেকে হিদার সোল জানিয়েছেন, এই আবিষ্কার আমাদের আরও উত্সাহিত করেছে৷ এর ফলে আমরা জানলাম, এখনও পৃথিবীর বহু কিছুই আমাদের আবিষ্কার করতে বাকি৷ বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব হিমালয়ের এই পাহাড় ও জঙ্গলের মধ্যে প্রকৃতির আরও কত রহস্যই যে লুকনো আছে তা জানি না৷ সূত্র: এই সময়
০৬ অক্টোবর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস