এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: পূর্ণিমার আগের রাতে দিব্যি খুন করে এসে বাগুইআটির জ্যাংরায় গা-ঢাকা দিয়েছিল রামপদ মান্না। অনেক দিন ধরেই জ্যাংরার মহাময়া ক্লাবের পাশে একটি সেলুনে নাপিতের কাজ করত সে। আপাতত নিরীহ লোকটার আড়ালে যে এমন ভয়ানক ঠান্ডা মাথার খুনি লুকিয়ে আছে, তা কেউ ভাবতে পারেননি।
লক্ষ্মীপুজোর আগে ছুটি নিয়ে তমলুকের গড়কেল্লার বাড়িতে গিয়ে এমন এক নৃশংস কাজ যে রামপদ করে এসেছে, তা কারোকেই সে ঠাহর করতে দেয়নি। লক্ষ্মীপুজোর দিন সকালে তমলুকের গড়কেল্লা গ্রামের একটি পানের বুরুজে উদ্ধার হয়েছিল এক তরুণীর গলা কাটা নগ্ন দেহ। তরুণীর মুণ্ডটির খোঁজ পায়নি পুলিশ। ওই একই দিনে আশপাশের আরও তিন জায়গায় আরও দুই তরুণীর মুণ্ডহীন দেহ মেলে।
স্বভাবতই এমন নজিরবিহীন খুনের ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের উপরে চাপ ছিল। যার ফলে, তিনটি ঘটনার তদন্তে ব্যাপকভাবে নিজেদের যাবতীয় সোর্স লাগিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। এই তিন ঘটনার মধ্যে তমলুকের গড়কেল্লা গ্রামের ঘটনায় একটা ক্লু পায় পুলিশ। জানা যায়, গ্রামেরই প্রবীণ বাসিন্দা চণ্ডীচরণ মান্নার ছেলে রামপদ মান্না এক সুন্দরী এবং ফর্সা গায়ের রঙের তরুণীর কথা বন্ধুদের জানিয়েছিল। রামপদ নাকি আরও জানিয়েছিল, ওই তরুণীকে দিয়ে তন্ত্র সাধনায় সে নাকি সিদ্ধলাভ করবে।
রামপদর উপর পুলিশের সন্দেহ দৃঢ় হয়। কারণ, গড়কেল্লা গ্রামে পানের বুরুজে মুণ্ডহীন তরুণীর নগ্ন দেহের উপরে জবা ফুল এবং অন্যান্য ফুল ছড়িয়ে ছিল। দু’পায়ের মাঝখানেও জবা ফুল পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়াও ওই মৃত তরুণীর পায়ে আলতা পরানো ছিল। অপতান্ত্রিক অভিচার ক্রিয়ায় নরবলি দেওয়ার সময়ে এমনভাবে ফুল ও আলতা দিয়ে সাজানো হয় বলে কথিত।
সেলুন কর্মীর নির্ভেজাল চেহারার এই মানুষটা যে এমন ‘কোল্ড ব্লাডেড মার্ডারার’তা বুঝতেই পারেননি কলকাতার বাগুইআটির জ্যাংরার মহামায়া ক্লাব এলাকার বাসিন্দারা। তমলুক পুলিশ যখন গ্রেফতার করল, তখন জানা গেল তার আসল পরিচয়।
পূর্ণিমার আগের রাতে দিব্যি খুন করে এসে বাগুইআটির জ্যাংরায় গা-ঢাকা দিয়েছিল রামপদ মান্না। অনেক দিন ধরেই জ্যাংরার মহাময়া ক্লাবের পাশে একটি সেলুনে নাপিতের কাজ করত সে। আপাতত নিরীহ লোকটার আড়ালে যে এমন ভয়ানক ঠান্ডা মাথার খুনি লুকিয়ে আছে, তা কেউ ভাবতে পারেননি। লক্ষ্মীপুজোর আগে ছুটি নিয়ে তমলুকের গড়কেল্লার বাড়িতে গিয়ে এমন এক নৃশংস কাজ যে রামপদ করে এসেছে, তা কারোকেই সে ঠাহর করতে দেয়নি।
লক্ষ্মীপুজোর দিন সকালে তমলুকের গড়কেল্লা গ্রামের একটি পানের বুরুজে উদ্ধার হয়েছিল এক তরুণীর গলা কাটা নগ্ন দেহ। তরুণীর মুণ্ডটির খোঁজ পায়নি পুলিশ। ওই একই দিনে আশপাশের আরও তিন জায়গায় আরও দুই তরুণীর মুণ্ডহীন দেহ মেলে। স্বভাবতই এমন নজিরবিহীন খুনের ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের উপরে চাপ ছিল। যার ফলে, তিনটি ঘটনার তদন্তে ব্যাপকভাবে নিজেদের যাবতীয় সোর্স লাগিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। এই তিন ঘটনার মধ্যে তমলুকের গড়কেল্লা গ্রামের ঘটনায় একটা ক্লু পায় পুলিশ। জানা যায়, গ্রামেরই প্রবীণ বাসিন্দা চণ্ডীচরণ মান্নার ছেলে রামপদ মান্না এক সুন্দরী এবং ফর্সা গায়ের রঙের তরুণীর কথা বন্ধুদের জানিয়েছিল। রামপদ নাকি আরও জানিয়েছিল, ওই তরুণীকে দিয়ে তন্ত্র সাধনায় সে নাকি সিদ্ধলাভ করবে।
রামপদর উপর পুলিশের সন্দেহ দৃঢ় হয়। কারণ, গড়কেল্লা গ্রামে পানের বুরুজে মুণ্ডহীন তরুণীর নগ্ন দেহের উপরে জবা ফুল এবং অন্যান্য ফুল ছড়িয়ে ছিল। দু’পায়ের মাঝখানেও জবা ফুল পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়াও ওই মৃত তরুণীর পায়ে আলতা পরানো ছিল। অপতান্ত্রিক অভিচার ক্রিয়ায় নরবলি দেওয়ার সময়ে এমনভাবে ফুল ও আলতা দিয়ে সাজানো হয় বলে কথিত।
তমলুক পুলিশ আর দেরি না করেই সোমবার কলকাতার বাগুইআটি থানায় আসে। এরপর রাতভর খোঁজাখুজি এবং সোর্সের মাধ্যমে খবর সংগ্রহের পর মঙ্গলবার সকালে বাগুইআটির জ্যাংরার মহামায়া ক্লাবের পাশের সেলুন থেকে রামপদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তমলুক থানায় নিয়ে যাওয়ার পর জেরায় ভেঙে পড়ে রামপদ।
পুলিশের দাবি, সে নাকি খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। এরপরই রামপদকে গড়কেল্লা গ্রামে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। সেই সময়ে রামপদ পুলিশকে জানায় তরুণীকে আগে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিল সে। এরপর নগ্ন করে ফুল এবং আলতা দিয়ে সাজিয়ে ধারাল ভোজালি দিয়ে গলা কাটে। ঘটনাস্থল থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে এক জলার মধ্যে তরুণীর মুণ্ডটি ফেলে দিয়েছিল রামপদ।
এর আগে মুণ্ডটিকে প্রথমে সে কাগজে মোড়ে। এরপর তরুণীর পরনে থাকা জিনসের প্যান্ট দিয়ে মুড়ে দেয়। সবশেষে একটি পলিথিনের প্যাকেটে মুড়ে মুণ্ডটি জলে ফেলে দিয়েছিল সে। পুলিশ রামপদকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে সেই মুণ্ডটিও উদ্ধার করে। এছাড়াও ওই জলার পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় খুনের সময়ে ব্যবহৃত ধারালো ভোজালিটি।-এবেলা
১৮ অক্টোবর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/আ শি/এএস