এক্সক্লুসিভ ডেস্কঃ সুখী দাম্পত্য। শব্দ দুটো পরস্পরবিরোধী মনে হচ্ছে? হবে না, যদি আপনারা দুজনেই কিছু বিষয় মাথায় রাখেন। জীবনের মতো দাম্পত্যেও ভাল খারাপ দুই সময়ই থাকে। মোদ্দা কথা, খারাপ সময়েও হাল ছাড়লে চলবে না। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিন। সেসবেরই কিছু ফর্মুলা রইল।
❏ স্পেস: অ্যাঞ্জেলিনা জোলি একটা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘বিয়ে মানে সঙ্গীকে শিকল দিয়ে বাঁধা নয়।’ যথেষ্ট স্পেস দিন। তাঁর নিজস্ব একটা জগৎ রয়েছে। তা থেকে বিচ্ছিন্ন করবেন না। এটা কিন্তু স্বামী, স্ত্রী দুজনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
❏ কমিউনিকেশন: যাই হোক, কথা বন্ধ করবেন না। রাগ হচ্ছে? তাতে কি! খোলাখুলি কথা বলুন। নিজের রাগের কারণ জানান। ওঁরটাও শুনুন। একমাত্র কথা বলেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। কথা না বাড়লে দূরত্ব বাড়বে। বাড়িতে কথা বলতে অসুবিধা হলে লং ড্রাইভে যান। বা মাঝরাতে কফিশপে।
❏ সম্মান: স্বামী বা স্ত্রীকে সম্মান করাটা খুব জরুরি। তাহলে অনেক অশান্তি এড়ানো সম্ভব। সহকর্মী, বন্ধু বা আত্মীয়ের সামনে স্বামী বা স্ত্রীকে হেয় করবেন না। তাঁর খামতিগুলো প্রকাশ করবেন না। বরং আড়ালে বুঝিয়ে বলুন। সব সময় বসিং করবেন না।
❏ তাঁর পরিবার আপনারও: প্রথমদিকে হয়তো মানতে অসুবিধা হবে। তবু তাঁর পরিবার, আপনারও। এই দায়িত্ব শুধু স্ত্রীর নয়, স্বামীরও। সময় পেলেই তাঁর পরিবারকে নিয়ে আড্ডা দিন। পার্টি করুন। স্ত্রীও খুশি হবে, আপনিও হবেন।
❏ ব্যাঙ্ক আ্যাকাউন্টের তথ্য জানান: ভয়, আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেল জানলে স্ত্রী সব উড়িয়ে ফেলবে? তাঁকে বরং সব জানিয়ে দিন। দেখুন, তাতে নিজেই দায়িত্বশীল হয়ে খরচে লাগাম টানবে। আপনার দায়দায়িত্বও ভাগ করে নেবে।
❏ কতটা আপোস জরুরি: সম্পর্কে একটু আপোস করতেই হয়। তবে তার একটা সীমা থাকা জরুরি। আর এক জন আপোস করেই যাবে, অন্য জন নয়, সেটাও কিন্তু ঠিক নয়। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া আনুন। আপোসটা কঠিন মনে হবে না।
❏ ঘনিষ্ঠতা: যত বছরই বিয়ে হোক না কেন, ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ ছাড়বেন না। মাঝে মধ্যে দুজনে কোথাও ঘুরতে। সম্ভব না হলে, মাঝরাতে ছাদে গিয়েই না হয় একটু গল্প করুন। আলতো করে তাঁকে জড়িয়ে ধরুন। আওড়ান পুরনো সেই দিনের কথা। একটু আধটু কম্প্লিমেন্টও দিন।-আজকাল
২৩ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/ফিরোজ/এফএ