এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: বিয়ে হোক বা সংগীত, কিংবা উৎসবের সময় নেহাত শখ করেই বহু মহিলা হাতে মেহেন্দি পরেন৷ তবে এবার সেই শখের মাশুল দিতে হতে পারে মারাত্মক চর্মরোগে৷ সম্প্রতি এই ধরনের অসুখের কথা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ অভিযোগ, চিনা মেহেন্দির কারণেই ছড়াচ্ছে এই চর্মরোগ।
বিশেষ একটি হেনা পেস্ট ব্যবহার করার ফলেই চর্মরোগ ছড়ানোর কথা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। অভিযোগ উঠেছে, চিনা হেনা পেস্ট থেকেই এই অসুখ ছড়াচ্ছে৷ সাম্প্রতিক চিন বিরোধী হাওয়ায় এ খবর ছড়িয়েছে হু হু করে।
চিন-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির পর চিনা বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বয়কটের ডাক উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। লাগাতার প্রচারের ফলে কমেছে বিক্রিও। গুজব উঠেছিল, চিনা বাজিতে বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো আছে৷ যদিও এর সত্যতা প্রমাণিত নয়৷ চিনা মেহেন্দির প্রভাবে এই চর্মরোগ ছড়ানো তাই সত্যি নাকি গুজব, তা নিয়ে তাই ফের ধন্দ জেগেছে।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, স্রেফ চিনা হেনার কারণেই যে এই চর্মরোগ ছড়াচ্ছে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই৷ বহু স্থানীয় বিক্রেতারা যে মেহেন্দি পরান তাতে বিষাক্ত রাসায়নিক থাকতেই পারে। সিঁদুর বা হেয়ার ডাইতেও ব্যবহৃত হয় এই ধরনের রাসায়নিক৷ প্যারাফিনাইলানিডিয়ামিন (paraphenylenediamine), প্যারাফিনাইলমার্কারিক নাইট্রেট, পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট-এর মতো রাসায়নিক আকছারই এই ধরনের জিনিসে ব্যবহার করা হয়। যা অ্যালার্জি ও চর্মরোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
কোবাল্ট জাতীয় টক্সিক পদার্থও থাকে কখনও কখনও। যেহেতু আলাদা ব্যক্তির নানা রাসায়নিকের প্রভাবে অ্যালার্জি হতে পারে, তাই এ থেকে আগাম সাবধান হওয়া জরুরি৷ চিকিৎসকদের মতে স্রেফ চিনের ঘাড়ে বন্দুক ঠেকিয়ে এ সমস্যা এড়িয়ে না যাওয়াই ভাল। কেননা শুধু চিনা হেনাতেই নয়, ঘরোয়া প্রোডাক্টেও এই ধরনের রাসায়নিক থাকে।
তাই সবার আগে দেখে নেওয়া উচিত এই রাসায়নিক কারও পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে কি না৷ তারপরই মেহেন্দি পরা উচিত৷ যদিও স্থানীয় বহু মেহেন্দি দোকানেই এর তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই৷ আর তাই চিনা হোক বা না হোক, সস্তার মেহেন্দি থেকে দূরে থাকতেই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।-সংবাদ প্রতিদিন
২৬ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ