মঙ্গলবার, ০১ নভেম্বর, ২০১৬, ০২:৪৭:০৬

সুমেরু সাগরের বিজন দ্বীপে মিলল হিটলারের গোপন আস্তানা!

সুমেরু সাগরের বিজন দ্বীপে মিলল হিটলারের গোপন আস্তানা!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: সুমেরু অঞ্চলে সন্ধান মিলল হিটলারের গোপন ঘাঁটির। কিছু দিন আগে আর্কটিক সাগরের আলেকজান্দ্রা ল্যান্ড দ্বীপে নাত্‍‌সি আমলের গুপ্ত শিবিরটি খুঁজে পেয়েছেন রাশিয়ার একদল বিজ্ঞানী।

১৯৪২ সালে রাশিয়া আক্রমণের এক বছর আগে উত্তর মেরুর হাজার কিমি দূরে গোপন ঘাঁটি গড়ে তুলেছিলেন অ্যাডল্ফ হিটলার। নাত্‍‌সিরা এই গোপন শিবিরের সাংকেতিক নাম রেখেছিলেন 'শ্যাত্সগ্রাবের', যার অর্থ গুপ্তধন সন্ধানী। মূলত আবহাওয়া দপ্তর হিসেবে কাজ করত এই ঘাঁটি। কিন্তু ১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে দপ্তরে উপস্থিত বিজ্ঞানীরা অসুস্থ হয়ে দ্বীপ ছাড়তে বাধ্য হন।

৭২ বছর পরে রুশ বিজ্ঞানীরা গোপন জার্মান ঘাঁটিটির সন্ধান পেয়েছেন। পরিত্যক্ত দপ্তর থেকে মিলেছে পাঁচশোরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী। এর মধ্যে রয়েছে সযত্নে রক্ষিত বেশ কিছু মূল্যবান নথি।

ব্রিটিশ সংবাদপত্র ডেইলি মেল জানিয়েছে, উদ্ধার করা জিনিসের মধ্যে রয়েছে বাঙ্কারের ধ্বংসাবশেষ, মরচে ধরা বুলেট সহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত জিনিসপত্র। এই অঞ্চলের প্রবল ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে বেশির ভাগ জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যায়নি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গোপন এই হাওয়া অফিসের পাঠানো আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ওপর নির্ভর করত নাত্‍‌সি বাহিনীর গতিবিধি। পাশাপাশি হিটলারের নৌবাহিনীতে বহাল যুদ্ধজাহাজ ও ডুবোজাহাজও এই ঘাঁটির পূর্বাভাস মেনে চলত। তবে গুপ্ত ঘাঁটির সাংকেতিক নামকরণের ভিত্তিতে রুশ বিজ্ঞানীদের ধারণা, শুধুমাত্র আবহাওয়ার ওপর নজর রাখতেই তা ব্যবহার করা হত না। তাঁদের দাবি, হাওয়া অফিসের পরিচয়ের আড়ালে সুমেরু অঞ্চলে দস্তুরমতো প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযান চালানোর উদ্যোগও নিয়েছিল হিটলার বাহিনী।

প্রসঙ্গত, বহু দিন যাবত্‍ বিতর্কিত অঞ্চল থাকার পরে রুশে ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত হয় আলেকজান্দ্রা ল্যান্ড। বর্তমানে এই দ্বীপে নিজস্ব সামরিক ঘাঁটি তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে রুশ সরকার। -এই সময়।
০১ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে