এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: বিল গেটসের সঞ্চিত ধনরাশি পুরোপুরি এক লক্ষ কোটি টাকা নয়। কিন্তু, কানপুরের এই মহিলা ঊর্মিলা যাদবের আয় কিন্তু বিল গেটসের থেকেও বেশি। বছর তিরিশের ঊর্মিলা বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করেন এবং সেখান থেকে তাঁর মাসিক আয় ২০০০ টাকারও বেশি নয়। অথচ, কম্পিউটার উইজার্ড বিল গেটসের সংস্থা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। তাঁর সংস্থাগুলির প্রত্যেক দিনেরই আয় কয়েক হাজার কোটি টাকা। কিন্তু, তার পরও বিল গেটস ব্যক্তিগত অর্থ সঞ্চয়ে ঊর্মিলার পিছনে পড়ে গিয়েছিলেন।
কানপুরের এক সাধারণ গৃহবধূ উর্মিলা নিজেও প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে তাঁর কাছে এত পরিমাণ ধন রাখা আছে। মোবাইলে প্রথমে উর্মিলা দেখেন তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৯,৯০,০০০ টাকা জমা পড়েছে। এমন দেখে ভড়কেই গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে পাসবই নিয়ে ছোটেন স্টেট ব্যাঙ্কের শাখায়। অ্যাকাউন্ট চেক করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ ব্যাঙ্কের পাসবই আপডেটে থাকা কর্মীর। দেখা যায় ঊর্মিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমে থাকা ধনরাশির পরিমাণ ৯৫,৭১,১৬,৯৮,৬৪৭.১৪ টাকা। ঊর্মিলা সংখ্যার এত বড় রাশি বোধগম্য করতে পারছিলেন না। বরং আতঙ্কে তাঁর দিশেহারা হয়ে যাওয়ার অবস্থা।
প্রধানমন্ত্রীর ‘জন ধন যোজনা’য় এই অ্যাকাউন্টটি খুলেছিলেন ঊর্মিলা। ঊর্মিলার অ্যাকাউন্টে এই অর্থের উৎস নিয়ে তদন্ত শুরু করে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। দেখা যায়, সার্ভারের গোলযোগে বিশাল অঙ্কের এই অর্থ ঊর্মিলার অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে গিয়েছিল। প্রায় ৩ ঘণ্টা পরে ঊর্মিলার অ্যাকাউন্টে যাওয়া অর্থ রিকভার করে নেয় ব্যাঙ্ক। কিন্তু, জুলাই মাসে হওয়া এই ঘটনায় ৩ ঘণ্টার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠছিলেন ঊর্মিলা। এই কথা এখন কেউ তাঁকে জিজ্ঞেস করলেই নাকি দীর্ঘশ্বাস ফেলেন ঊর্মিলা। আসলে এই অর্থের জন্যই তো দিনভর খেটে চলে মানুষ। তবে, ঊর্মিলার মতে, বিনা পরিশ্রমে পাওয়া অর্থ কোনও কাজের নয়।-এবেলা
১১ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ/এইচএস/কেএস