শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৬, ০৩:৫০:১৭

বিবাহিত জীবনে সুখী রহস্য কী?

বিবাহিত জীবনে সুখী  রহস্য কী?

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: ‘মহাভারত’ কেবল মাত্র রণ-রক্ত-সফলতার কাব্য নয়। এই মহাকাব্যের পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে সামাজিক ও সাংসারিক উপদেশ। মানুষের সুখদুঃখের খতিয়ান মহাভারত-এর পাতায় পাতায়। যে কোনও চরিত্রই তাঁর বহির্জগতের সঙ্গে মেলাতে চেয়েছেন অন্তর্জগৎকেও। তাই মহাভারত এদেশের অন্যতম প্রধান পথপ্রদর্শক গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত।

মহাভারত-এর মুখ্য নারীচরিত্র দ্রৌপদী। তিনি পঞ্চপ্রিয়া। পাঁচ স্বামীর সুখদুঃখকে তিনি সামলাতে জানতেন। তার উপরে তিনি কৃষ্ণের সখী। পুরুষোত্তমের সাহচর্যও তাঁকে ঋদ্ধ করেছিল উপলব্ধিতে। বনপর্বে এক জায়গায় দ্রৌপদী কৃষ্ণের পত্নী সত্যভামাকে জানান, সুখী বিবাহিত জীবনের রহস্য। কী বলেছিলেন তিনি?

• পাঞ্চালীর মতে, সাংসারিক সুখের চাবিকাঠি নারীর হাতেই থাকে। সুতরাং নারী যদি চায়, তবেই সংসার তথা দাম্পত্য সুখের হতে পারে।

• পাঞ্চালীর মতে, কোনও নারীই তার স্বামীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাঁর উচিত, স্বামীকে তাঁর স্ব-ভাবের উপরেই ছেড়ে রাখা। যদি স্বামীকে নিয়ন্ত্রণ করতে সে তুকতাকের আশ্রয় নেয়, তবে ফল ভাল হবে না।

• একজন বুদ্ধিসম্পন্না নারী তাঁর স্বামীর পরিবার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নখদর্পণে রাখেন। সেই সঙ্গে স্বামীর বন্ধু ও দূর আত্মীয়দের সংবাদও তাঁর গোচরে থাকে।

• যে সব নারী ছলনাময়ী এবং মিথ্যাচারী, তাঁদের থেকে দূরে থাকতে হবে। এঁরা পুরুষের ক্ষতি করেন ঠিকই, তবে তার আগে ক্ষতি করেন অন্য নারীর।

• নারীর অন্যতম কর্তব্যই হল সকলের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন। পরিবারের তরুণতম সদস্যটির সঙ্গেও সশ্রদ্ধ আচরণ করলে গৃহশান্তি সুনিশ্চিত।

• আলস্য নারীর প্রধান শত্রু বলে জানিয়েছেন দ্রৌপদী।

• একজন নারীর পক্ষে পুরুষের সমক্ষে বার বার দৃশ্যমান হওয়াটা মোটেই কাজের কথা নয়। নারীকে হতে হবে দুর্লভ। এতে তার থেকে অশান্তিও দূরে থাকবে।

• নারীর উচিত যে কোনও সাংসারিক সমস্যার সময়েই ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণ করা। যেখানে সেখানে আবেগের প্রকাশ তাকে বিপদে ফেলতে পারে।

• অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে বিনা বিনা প্রয়োজনে বাক্যালাপ নারীর পক্ষে বর্জনীয়। এতে পারিবারিক অশান্তি বাড়ে।-এবেলা

১২ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে