নাটোর: নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় বাঁশবাড়িয়া গ্রামে পুকুরে পানির নীচে রহস্যজনক আলো দেখে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এরপর খবর ছড়িয়ে পড়ায় রাতেই পুকুর পাড়ে ভীড় জমায় হাজার হাজার উৎসুক জনতা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বাগাতিপাড়া উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আছাদ আলীর পুকুরের পানিতে এ আলো দেখা যায়। তবে চার ঘণ্টা পর আলো রহস্যের মিলেছে উত্তর। পাওয়া গেছে আলোর উৎস।
দেখতে আসা উৎসুক জনতা জানান, আছাদ আলীর পুকুরের পানিতে দেখা আলো নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। তারা বলেছেন, ভুত-প্রেত বা কোনো মূল্যবান ধাতুর কারণে দেখা গেছে ওই আলো।
আবার স্থানীয় অনেকে পানির সঙ্গে কোনো রাসায়নিক দ্রব্যের বিক্রিয়া ঘটায় এমন আলোর দেখা মিলেছে বলে মনে করেছেন। কেউ কেউ এটাকে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা বলতেও দ্বিধা করেননি। কেউ কেউ এটিকে সিনেমার গল্পের নাগমণির আলোর সঙ্গেও তুলনা করেছেন। যে যেমন পেরেছে, সে তেমন তুলনা করেছে।
রাত ৮টার দিকে সরেজমিনে, পুকুর পাড়ে হাজার হাজার কৌতূহলী জনতা ভীড় করেছেন। পাড়ের নিকটেই পানির নীচে আলোর আভা দেখতে পাওয়া যায়। প্রায় দেড় ফুট ব্যাসার্ধের বৃত্তাকার ওই আলোটি পানির তলদেশ থেকে আভা ছড়াচ্ছিল।
এরপর মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবহনে একে একে আসতে বিভিন্ন এলাকা থাকে মানুষ। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও দেখতে আসেন সেই আলো।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে খবর পেয়ে বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এদিকে গণমাধ্যম কর্মীরাও ততক্ষণে সেখানে ভীড় জমিয়ে ফেলেন।
ওসি মনিরুল ইসলাম পানিতে নামান স্থানীয় কয়েকজনকে। চার ঘণ্টা পর অবশেষে রহস্যে জট খুলে তুলে আনেন এক টর্চ। পানির নীচে পড়ে থাকা মোবাইল ব্যাটারিতে বানানো এক ধরনের টর্চই ছিলো ওই আলোর রহস্য।
২৪ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি