এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মাত্র একরাতের মধ্যে গোটা জীবনটাই বদলে গেছিল জীবতির। জোর করে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল এক বৃদ্ধের সাথে। জীবতির ‘অপরাধ’ ওই বৃদ্ধের কাছ থেকে পাকিস্তানি মুদ্রায় ১ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন।
তাছাড়া জীবতির আর এক ‘অপরাধ’, বাড়ির মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুন্দরী সেই। শুধু জীবতি নয়, তার মতো এমন নির্যাতনের শিকার দক্ষিণ পাকিস্তানের বহু মেয়েই। বাবা ঋণ চোকাতে না পারলে বাড়ির সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েকে বাধ্য করা হচ্ছে ঋণদাতাকে বিয়ে করার জন্য। জমি বা বাড়ির মতো ঘরের মহিলাদেরও গণ্য করা হচ্ছে সম্পত্তি হিসাবে।
জীবতির মা আমেরি বলছেন, ‘বাড়ির পুরুষদের সিদ্ধান্ত শেষ কথা। কেন আমার মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হবে, তাও আবার এমন একজনের সঙ্গে, যার সঙ্গে আমার মেয়ের বয়সের ব্যবধান অনেকটাই। আমি অভিযোগ জানিয়ে পুলিসের কাছেও গেছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমার কথা কর্ণপাত করেনি।’
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হিসাবে এইভাবে জোর করে ২০০০-এর বেশি মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করছে দক্ষিণ পাকিস্তানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘গ্রিন রুরাল’। তাদের কর্মী গুলাম হায়দার বলছেন, ‘পাকিস্তানের সংবিধান কখনওই এই ধরনের জবরদস্তিকে অনুমোদন দেয় না। এটা অসাংবিধানিক এবং বেআইনি।’ আজকাল
২৪ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসবি