মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:০৫:০০

হঠাৎ নারী শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে ১০০ কোটি টাকা, কোথা থেকে এলো এই টাকা? সুরাহা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি

হঠাৎ নারী শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে ১০০ কোটি টাকা, কোথা থেকে এলো এই টাকা? সুরাহা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার সারদা রোড শাখায় জন ধন অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন শীতল যাদব নামে এক মহিলা। গত ১৮ ডিসেম্বর বাড়ির কাছে আইসিআইসিআই ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তাঁর অ্যাকাউন্টে যে টাকা দেখলেন, তাতে চোখ কপালে উঠল তাঁর। টাকার পরিমাণ ৯৯,৯৯,৯৯,৩৯৫ টাকা। প্রথমটা বিশ্বাস হচ্ছিল না কিছুতেই। এজন্য এটিএমের লাইনে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তিকে তা দেখালেন শীতল। তিনিও জানালেন, হ্যাঁ, এক কোটি টাকাই তো দেখাচ্ছে।

মেশিনে ভুল থাকতে পেরে ভেবে অন্য একটি এটিএমে গিয়ে ব্যালান্স চেক করলেন। দেখলেন, কোনও ভুল নেই। তারপর থেকে ঘুম ছুটেছে শীতলের।

পাশবই নিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন স্টেট ব্যাংকের শাখায়। কিন্তু ব্যাংকের কর্মীরা তাঁর অভিযোগকে কোনও গুরুত্ব দেয়নি বলে দাবি করেছেন শীতল। পরে তাঁকে বলা হয়, বিষয়টি সংশোধনের জন্য ব্যাংক ম্যানেজার তাঁকে সাহায্য করবেন। এজন্য তাঁকে অন্য একদিন ব্যাংকে আসতে বলা হয়। পরের দিন ব্যাংকে গেলে অন্য কারণ দেখিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।


ব্যাংকে সমস্যার সুরাহা না হওয়ায় শীতল এখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ হয়েছেন। শীতলের স্বামী জিলেদার সিংহ এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও)-এ চিঠি পাঠিয়েছেন।

ট্রান্সফর্মার উত্পাদক সংস্থার কর্মী জিলেদার বলেছেন, তাঁর স্ত্রী একটি কারখানার প্যাকেজিং বিভাগে কাজ করেন। মাইনে মাসে পাঁচ হাজার টাকা। জিলেদারের বেতনও খুবই কম। জনধন অ্যাকাউন্টে টাকা জমার সর্বোচ্চ সীমা যেখানে ৫০ হাজার টাকা সেখানে শীতলের অ্যাকাউন্টে এত টাকা দেখে দুজনেই তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন। ভয়ও পেয়েছেন।  জিলেদার বলেছেন, পিএমও-তে চিঠি লেখার জন্য এক শিক্ষিত ব্যক্তির দ্বারস্থ হয়েছিলেন।  আজ তিনি চিঠি পোস্ট করেছেন। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। -এবিপি আনন্দ।
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে