শনিবার, ০৭ জানুয়ারী, ২০১৭, ০৫:০২:০২

হাতে মাত্র এক বছর, তার পরে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে ‘মানুষ’ নামে পরিচিত প্রাণীটির অস্তিত্ব

 হাতে মাত্র এক বছর, তার পরে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে ‘মানুষ’ নামে পরিচিত প্রাণীটির অস্তিত্ব

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: কমবেশি ১০০ দিনে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে ‘মানুষ’ নামে পরিচিত প্রাণীটির অস্তিত্ব। এর কারণ ‘জোম্বি ভাইরাস’। এই ভাইরাসের আক্রমণের তিন মাসের মধ্যে পৃথিবী উজার হয়ে যাবে মহামারিতে।

মানুষের হাতে নাকি আর মাত্র এক বছর সময়। তার পরে এক ভয়াবহ ঘটনায় মানুষ নামক প্রাণীটির পরিণতি দাঁড়াবে পচাগলা জীবন্মৃত দেহে। না, হলিউডি ছবিতে দেখা কোনও ‘জোম্বি অ্যাপোক্যালিপ্স’-এর গল্প নয়, এই দাবি এক বিজ্ঞানী দলের।

যুক্তরাজ্যের লেসেস্টার ইউনিভার্সিটির পদার্থ বিজ্ঞানের গবেষকরা সম্প্রতি এক গবেষণায় জানিয়েছেন, কমবেশি ১০০ দিনে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে ‘মানুষ’ নামে পরিচিত প্রাণীটির অস্তিত্ব। এর কারণ ‘জোম্বি ভাইরাস’। এই ভাইরাসের আক্রমণের তিন মাসের মধ্যে পৃথিবী উজার হয়ে যাবে মহামারিতে। বিশ্বের জনসংখ্যা ৩০০-য় নেমে আসবে। পৃথিবীর শেষ মানুষটি মারা যেতে বড়জোর ৯ মাস সময় নেবেন।

মানব প্রজাতির এই ভয়াবহ পরিণতিটির গল্পটা উঠে এসেছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকদের প্রদত্ত এক সম্ভাবনা-সমীক্ষা থেকে। এই সমীক্ষার প্রস্তাব পেশ করেছিলেন পদার্থবিদ্যা ও মাহাকাশ বিজ্ঞানের শিক্ষক মারভিন রয়। তিনি জানিয়েছেন, এমন ভবিষ্যৎমুখী গবেষণা শিক্ষার্থীদের প্রেরণা জোগায়। প্রতি বছর ‘জার্নাল অফ ফিজিক্স স্পেশাল টপিকস’-এর জন্য তাঁরা নিবন্ধ লিখতে বলেন ছাত্র-গবেষকদের। এতে তাঁরা দেখতে চান, শিক্ষার্থীদের কল্পনাশক্তির সঙ্গে অধীতবিদ্যার সংযোগ কীরকম ঘটছে। গাঁজাখুরি গল্প নয়, সেই নিবন্ধে অবশ্যই থাকতে হবে বিজ্ঞানের মিশেল।

এবছর ওই জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে ‘জোম্বি ভাইরাস’-সংক্রান্ত ওই নিবন্ধ। এই নিবন্ধে লেখকরা দেখাতে চেয়েছেন, মানুষ যে কোনও বিপদকেই জয় করতে পারে। তাঁরা দেখিয়েছেন, এই জোম্বি অ্যাপোক্যালিপ্স-এর মধ্যেই মানুষ শিশুর জন্ম দেবে, নিজের প্রজাতিকে বহমান রাখতে তৎপর থাকবে। এবং এক সময়ে ধ্বংসের মধ্যে থেকেই জেগে উঠবে প্রাণ। তাঁদের হিসেব অনুযায়ী অ্যাপোক্যালিপ্সের ২৫ বছর পরে আবার শুরু হবে সভ্যতার জয়যাত্রা।  

তাঁদের গবেষণায় গবেষকরা এই ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন। তাঁদের মতে একজন জোম্বির থেকেই অন্যদের দেহে এই সংক্রমণ ঘটবে। তার পরে এপিডোমোলজির হিসেব-নিকেশ থেকে তাঁরা ওই ‘এক বছর’-এর সিদ্ধান্তে এসেছেন। সংক্রমিত জীবাণু, অর্থাৎ জোম্বিরা অ-সংক্রমিতদের দেহে কত কম সময়ে সংক্রমণ ঘটাতে পারে, সেটাও তাঁরা যত্ন সহকারে দেখিয়েছেন।-এবেলা
০৭ জানুয়ারী,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে