এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : রাস্তায় দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বাইকের বেশ বদনাম রয়েছে। কাছের সিনিয়রা অনেক সময় মোটরসাইকেলকে ‘মরণ সাইকেল’ বলে থাকেন। এর প্রধান কারণ, বাইকে ক্রমাগত ব্যালেন্স বজায় রেখে চালাতে হয়। অনেক সময় বাইকারের কোনও দোষ না থাকা সত্ত্বেও দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। সেই দুর্ভাবনা থেকে খানিকটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে হোন্ডা (Honda)।
লাস ভেগাস CES 2017-তে হোন্ডা একটি নতুন বাইক প্রদর্শনীতে রাখে যাতে রাইডিং অ্যাসিস্ট প্রযুক্তি রয়েছে। অর্থাত্ বাইক আপনি শুধু বসে থাকবেন। বাইক আপনা থেকেই ব্যালেন্স করে পথ চলবে। শুধু তাই নয়, পার্কিংয়ের জন্য আপনি হেঁটে কোথাও গেলে বাইক আপনাকে ফলো করবে এবং নিজে থেকেই পার্ক হবে।
প্রদর্শনীতে দেখার পর অনেকেই বাইকটি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। স্ট্যান্ট করার প্রয়োজন নেই। নিজে থেকেই দাঁড়িয়ে থাকবে। কোনও জাইরোস্কোপের সাহায্য ছাড়া এই প্রযুক্তি রীতিমতো চমকপ্রদ। হোন্ডার অসিমো রোবটে ইতিমধ্যে এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। কী ভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি? বাইকটি যে দিকে হেলে পড়বে এই প্রযুক্তির সাহায্যের তার উল্টো দিকে কাউন্টার থ্রাস্ট দিয়ে ফের বাইকটিকে সোজা করে দেবে। প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনি চাইলে আপনার সুবিধা অনুযায়ী বাইকের হ্যান্ডেল অ্যাডজাস্ট করতে পারবেন।
সংস্থা সূত্রে খবর, অদূর ভবিষ্যতে হোন্ডার বাইক সম্পূর্ণ নিজের নিয়ন্ত্রণে চলবে। ইতিমধ্যে ইলেকট্রনিক স্টিয়ার এবং ওয়্যার সিস্টেম নামে এই নতুন প্রযুক্তির ওপর কাজও চলছে। সোজা কথায় বললে, এর ফলে রাইডার চাইলে সামনের চাকার ওপর বাইকের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা দিতে পারবে। জ্যাম রাস্তায় ঘণ্টায় ৩ মাইলের কম স্পিড থাকলে বাইক নিজে থেকে পথ খুঁজে নিয়ে চলবে। বেশি গতিতেও কী ভাবে বাইক স্ব-নিয়ন্ত্রিত হতে পারে তা নিয়েও চলছে গবেষণা।
৮ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস