শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৭, ১০:১৬:১৩

ভবঘুরেদের সমাদর করে খাওয়ানো ওসমানের হোটেলের খোঁজ দিচ্ছে গুগলও!

ভবঘুরেদের সমাদর করে খাওয়ানো ওসমানের হোটেলের খোঁজ দিচ্ছে গুগলও!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভাঙড়ের হাড়োয়া রোডের উপর ওসমান মোল্লার হোটেলের হদিস জানে খাস গুগল! সেই ওসমানের কাছে কিন্তু ভবঘুরে এবং মানসিক ভারসাম্যহীনেরাই সম্মাননীয় অতিথি। কেউ কেউ তাঁর হোটেলে মাসের পর মাস থেকেও গিয়েছেন। পরে আবার ফিরেও গিয়েছেন অনেকে। ভবঘুরেরা নিজের নাম মনে করে বলতে না পারলে ওসমান তাঁদের নাম রাখেন— বাপি!

রাত-দিন খোলা ওষুধের দোকানের মতোই ওসমানের হোটেলের ঝাঁপও কেউ কখনও বন্ধ হতে দেখেননি। আটজন রাঁধুনি দিনরাত জ্বালিয়ে রাখেন হোটেলের উনুন। রাতবিরাতে হাড়োয়া রোড ধরে চলাচল করা বসিরহাটগামী ট্রাক থেকে দেহ নিয়ে আসা শ্মশানযাত্রী সকলেই একডাকে চেনেন ওসমানের ‘আজ হোটেল’কে।

ভাঙড়ে বিদ্যুতের সাবস্টেশনের আধ কিলোমিটার দূরত্বে খামারাইট গ্রামের মোড়ে ওসমানের ‘আজ হোটেল’। ঘণ্টা দু’য়েক সময় পেলে কয়েক’শ লোকের খাবারের আয়োজন করা তাঁর কাছে নস্যি! কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসের স্নাতকোত্তর ওসমান এক সময় সব্জি চাষের কাজে যুক্ত থাকলেও এখন হোটেলই তাঁর পেশা।

আটজন রাঁধুনিকে মাসে প্রায় লাখখানেকের কাছাকাছি মাইনে দেন ওসমান। ধাবা ধাঁচের হোটেলে মেলে ভাত, রুটি, মাছ, মাংস সবই।
 বিদ্যুতের সাবস্টেশন তৈরির বিরুদ্ধে আন্দোলনকে ঘিরে সাম্প্রতিককালে ভাঙড় উত্তপ্ত হলেও ওসমান নির্লিপ্ত। তাঁর কথায়, “শুরুর পর থেকে গত কয়েক বছরে কখনও হোটেল বন্ধ রাখিনি। বুধবার সাবস্টেশন বিরোধী অবরোধে এলাকার সব দোকানই বন্ধ ছিল। আমার হোটেলও কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রেখেছিলাম।”

 গুগলের মানচিত্রে তাঁর হোটেলের হদিস পাওয়া যায় জেনে অবাক ওসমান। তিনি বলেন, “সারা বছর রাত-দিন খোলা থাকে। সেভাবেই হোটেলের পরিচিতি।”
আর ভবঘুরেরা হোটেলের হদিস পান কোথায়? সে-ও কি গুগলে? ওসমান বলেন, “মানচিত্রে তো সেসব থাকে না। আমি পেট ভরে লোকজনকে খাওয়াতে ভালবাসি। রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে তাই মানুষ চলে আসেন।
১৩ জানুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে