এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : একেই বলে মানবিকতা। কলকাতা নাইটরাইডার্সের অলরাউন্ডার ইউসুফ পাঠান ধরা দিলেন অন্য অবতারে। দিনকয়েক আগে মুসকান নামের এক কৃতি ছাত্রীকে সংবর্ধনা দিয়েছিলেন ইউসুফ। মুসকানের জীবন খুব দুঃখের। এক পথ দুর্ঘটনায় মেয়েটির ডান হাত চলে যায়। তবুও মুসকান স্কুল ফাইনাল পরীক্ষায় ৯৯.৯৩ শতাংশ নম্বর পান। মুসকানের জীবনের কাহিনি শুনে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি ইউসুফ। এবেলা.ইন-কে জানিয়েছিলেন, মুসকানের জীবনের ঘটনা শুনে তিনি রীতিমতো অনুপ্রাণিত।
এ বার ইউসুফ পাঠান যে কাজটা করলেন, তাতে তাঁকে কুর্নিশ না জানিয়ে উপায় নেই। পাঠান তাঁর ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, উদ্বিগ্ন মুখে রক্তাক্ত একটি পায়রার পরিচর্যায় ব্যস্ত ইউসুফ পাঠান। একটি বাচ্চা ছেলেও সঙ্গে রয়েছে ইউসুফের। বাচ্চা ছেলেটির হাতেই রয়েছে পায়রাটি। পরম স্নেহে পায়রাটির ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন মাঠের ভিতরে ছক্কা মারতে দক্ষ ক্রিকেটারটি। সেই ছবির নীচে ইউসুফ পাঠান লিখেছেন, মকরসংক্রান্তির শুভেচ্ছা জানাই সবাইকে। সেই সঙ্গে প্রত্যেককেই সতর্ক হতে হবে। সতর্ক হয়ে ঘুড়ি ওড়াতে হবে। না হলে ঘুড়ির ধারালো সুতোয় বিপন্ন হতে পারে পাখিরা।
আসলে মকরসংক্রান্তিতে আমদাবাদ-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুড়ি উৎসব পালিত হয়। আমদাবাদেই ঘুড়ির ধারালো সুতোয় গলা কেটে প্রাণ গিয়েছে এক মহিলার। এমন খবরও এসেছে সংবাদমাধ্যমের কাছে। পাঠানের পোস্ট করা ছবির পায়রাটিও ঘুড়ির সুতোয় ক্ষতবিক্ষত হয়ে লুটিয়েছিল রাস্তায়। ইউসুফের মন নরম। তিনি পায়রাটির কষ্ট, যন্ত্রণা সহ্য করতে পারেননি। পরম স্নেহে পায়রাটির শুশ্রুষা করেন পাঠান। তাকে বাঁচিয়ে তোলেন।
১৫ জানুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম