এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ৪৫০০ বছর আগে কালান্তক সুদর্শন চক্র দ্বাপর যুগে শিরশ্ছেদ করেছিল শিশুপালের। নাশ করেছিল আসুরিক শক্তির। মহাভারতের সেই শ্রীকৃষ্ণের বিধ্বংসী অস্ত্রই এবার আসতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে।
মুহূর্তের মধ্যে শত্রুর সেনাঘাঁটি তছনছ করে ‘সুদর্শন চক্র’ ফিরে আসবে আবার স্ব-স্থানে। পুণরায় ব্যবহারও করা যাবে। এই অস্ত্র হাতে আসলে চীন ও পাকিস্তানকে সামরিক ক্ষেত্রে কয়েক যোজন পিছনে ফেলে শক্তিমত্তায় এগিয়ে যাবে ভারত।
প্রায় ৪৫০০ বছর আগে দ্বাপর যুগের শ্রীকৃষ্ণের সুদর্শন চক্রের আদলে, ব্রাহ্মস মিসাইলের নির্মাতা ‘ব্রহ্মস এরোস্পেস’ এমন একটি হাইপারসোনিক মিসাইল বানাচ্ছে যা শত্রু দেশের সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করে ফের লঞ্চপ্যাডে ফিরে আসবে। এই মিসাইলটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য।
ব্রাহ্মসের সিইও সুধীর কুমার মিশ্র জানিয়েছেন, শব্দের থেকেও ১০ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন হবে ‘হাইপারসনিক’ এই মিসাইলটি। তিনি আরও জানান, নির্ধারিত লক্ষ্যে আঘাত হানার পর ক্ষেপণাস্ত্রটি ফিরে আসবে লঞ্চপ্যাডে। এই প্রজেক্টটি প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের স্বপ্ন ছিল বলেও জানান মিশ্র। ভারতীয় মিসাইল প্রযুক্তির জনক রূপে পরিচিত ‘মিসাইল ম্যান’ কালাম চেয়েছিলেন একটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে।
প্রধানমন্ত্রী মোদির আবেদন সত্ত্বেও সীমান্তে আগ্রাসী কার্যকলাপ বজায় রেখেছে চীন ও পাকিস্তান। তাই দু’দিক থেকেই আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। জাপান ও ভিয়েতনামের সঙ্গে ক্রমাগত সামরিক সহযোগিতা বাড়াচ্ছে নয়াদিল্লি৷ এমনকি ভিয়েতনামকে ভয়ঙ্কর আকাশ মিসাইলও সরবরাহ করতে পারে ভারত৷
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর সাফ জনিয়ে দিয়েছেন, যে ভিয়েতনামের সেনাকে প্রশিক্ষণ দেবেন এদেশের জওয়ানরা৷ তিনি আরও বলেছেন, হ্যানয়কে কিলো ক্লাস সাবমেরিন ও সুখোইয়ের মত অত্যাধুনিক জঙ্গি বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ দেবে দিল্লি৷ ২০১৬-য় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হ্যানয় সফরে গিয়ে কৌশলগত ভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন৷
অন্যদিকে, জাপানের সঙ্গেও ভারত সামরিক সহযোগিতা ক্রমশ বাড়াচ্ছে৷ দক্ষিণ-চিন সাগরে লালফৌজের আগ্রাসী কার্যকলাপে উদ্বিগ্ন জাপান এবার নয়াদিল্লির সঙ্গে হাত মিলিয়ে চীনকে রুখতে প্রস্তুত৷ দক্ষিণ-চীন সাগরে চীনাফৌজকে নজরে রেখে ভারত-জাপান ও আমেরিকার নৌসেনারা ‘মালাবার’ যুদ্ধ মহড়াও সেরে ফেলেছে৷ সংবাদ প্রতিদিন
২০ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস