এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: সিএ পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর খুশির মেজাজে ঘাটকোপারের পারিরা পরিবার। হবে নাই বা কেন? তাঁদের বাড়ির ছোট মেয়েটি যে সিএ পরীক্ষায় চূড়ান্ত ধাপ পেরিয়ে হাসি ফুটিয়েছে মা-বাবার মুখে। গত দু’বছরের অক্লান্ত চেষ্টার ফল পেয়েছেন ২৫ বছরের স্টেফি পারিরা।
নিম্নবিত্তর পরিবারের মেয়ে স্টেফি। বাবা অটোচালক, মা বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করেন। কিন্তু দুই মেয়েকে পড়াশোনা শিখিয়েছেন পারিরা দম্পতি। বড় মেয়ে অনিতা ইন্টিরিয়র ডিজাইনার। এখন ছোট মেয়েও সাফল্যের মুখ দেখল। মুম্বই মিরর-কে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কাটরে স্টেফি জানিয়েছেন, ‘অবশেষে আমি মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি। আমার পড়াশোনা ভালোভাবে চালানোর জন্যে মা-বাবা অনেক কষ্ট করেছেন। কিন্তু আমার কোনও অসুবিধে হতে দেননি। আমার এই সাফল্যের সব কৃতীত্বই মা-বাবার।’
২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম গ্রুপ ক্লিয়ার করলেও দ্বিতীয় গ্রুপে কয়েক নম্বরের জন্যে পাশ করতে পারেন না। পরের দু’বারেও একই ফল হয়। মাঝে মধ্যে ভেঙে পড়লেও সাহস হারাননি, নিজের লক্ষ্য থেকে সরে আসেননি স্টেফি।
মেয়ের সাফল্যে খুবই খুশি বাবা ফ্রান্সিস পারিরা। তিনি জানান, ‘আমি ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়েছি। তাই মেয়ের জন্যে বড় স্বপ্ন দেখেছিলাম। কলেজের মাইনে এবং টিউশন ফি মেটানোর জন্যে অনেক টাকার প্রয়োজন ছিল। আমরা কোনওরকমে সবটা জোগাড় করেছি।’ মেয়ের সাফল্যে খুশি মাও। বলেন আগামী দিনে স্টেফিকে জীবনে আরও সফল দেখতে চান।
প্রতিদিন ১৩ ঘণ্টা পড়তেন স্টেফি। থানের একটি ছোট লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়াশোনা করার পাশাপাশি সিএ পাশ করেছেন এমন কিছু বন্ধুর সাহায্য নিয়েছিলেন স্টেফি। ইতিমধ্যে নিজের একটি ট্যাক্স কনসালটেন্সি শুরু করেছেন তিনি। আগামী দিনে সেটিকেই বড় করার ইচ্ছে তাঁর।-এই সময়
২৪ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস