বাতাসের সাহায্যে চলা সাইকেল আবিষ্কার করলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের মোশারফ
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: সাইকেল কি আর বাতাসে চলে? সাইকেল তো পা দিয়ে প্যাডেল করে চালাইতে হয়। কিংবা মটর সাইকেল যদি হয় তাহলে তো প্রয়োজন হবে পেট্রোলের। তবে মোশারফের আজব সাইকেল পেট্রোল কিংবা বিদ্যুতে চলে না। আজব এই সাইকেল চলে বাতাসের সাহায্যে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না তো- তাহলে ঘটনাটি খুলেই বলছি।
মূলত আজব এই সাইকেলের চালকের আসনের ঠিক পেছনেই রয়েছে স্ট্যান্ডের ওপরে অ্যালুমিনিয়ামের বাটি দিয়ে তৈরি চারটি পাখা। সাইকেলটি চলার সময় বাতাসে ওই পাখাগুলো ঘুরতে থাকে। তখন সেটা থেকেই উৎপাদন হয় বিদ্যুৎ। সেই বিদ্যুতে চার্জ হয় ব্যাটারি। আর এই ব্যাটারি থেকেই চালু হয় সাইকেলে লাগানো ছোট্ট একটি মোটর। এভাবে মোটর চালিত এই ইলেকট্রিক বাইক সামনের দিকে এগিয়ে যায়
এই সাইকেলটি তৈরি করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার রামচন্দ্রপুর হাট এলাকার বাসিন্দা মোশারফ হোসেন। তিনি ইলেকট্রোনিক্স যন্ত্রপাতি সারাইয়ের কাজ করেন। গত দুই বছর তিনি বাতাস চালিত এই সাইকেলটি ব্যবহার করে আসছেন।
মোশারফ হোসেন জানান, অনেক দিন থেকেই তিনি ভাবছিলেন কি করে বিনা খরচে চলে এমন সাইকেল তৈরি করা যায়। যে ভাবনা থেকেই এটি তৈরি করা হয়েছে। সাইকেলটি তৈরি করতে তার খরচ হয়েছে ২৫ হাজার ৩০ হাজার টাকা। এটি ঘণ্টায় সব্বোর্চ ৫০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে।
মোশারফ দাবি করেন, তার সাইকেলটি তৈরি করার সময় একবার মাত্র ব্যাটারিতে চার্জ দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে ব্যাটারিতে আর কোনো চার্জ দেয়ার প্রয়োজন হয়নি। এটি যতোই চলবে ততোই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাটারি চার্জ হয়ে যাবে। তিনি দীর্ঘ দুই বছর ধরে সাইকেলটি চালাচ্ছেন কোনো ধরনের জ্বালানি খরচ ছাড়াই।
ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার মতোই চাবি দিয়ে সাইকেলটি চালু করতে হয়। চালানোর ধরনও একই রকমের। হাতের পিকআপে গতি কমানো ও বাড়ানো যায়।
ইতোমধ্যে মোশারফের বিনাখরচের ইলেকট্রিক বাইকটি এলাকাবাসীর নজর কেড়েছে। অনেকেই এ ধরনের সাইকেল তৈরি করানোর জন্য তার কাছে ধন্য দিচ্ছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি কাউকেই এই সাইকেল তৈরি করে দেননি। তিনি জানান, এটা তার শখ। বাণিজ্যিকভাবে এটি তৈরির কোনো ইচ্ছেই তার নেই।-বাংলামেইল
১৬ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ
�