রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭, ০৬:২৫:২৫

মল, বমি বা লালা দিয়ে তৈরি হয় এই খাবারগুলো! জানতেন?

মল, বমি বা লালা দিয়ে তৈরি হয় এই খাবারগুলো! জানতেন?

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: খাবারের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে রান্নার আগে সবজি, মাছ, মাংস ভাল করে ধুয়ে নিই আমরা। ঝকঝকে রাখি রান্নাঘর, ডাইনিং প্লেস-ও। কিন্তু জানেন কি বাজার থেকে আমরা এমন কিছু সুস্বাদু খাবার কিনি যা তৈরি কী ভাবে হয়েছে জানলে আপনি চমকে যাবেন। এটাও হতে পারে যে আপনার সাধের খাবারটিকে হয়তো দ্বিতীয়বার আর কিনলেনই না! যার কোনওটা হয়তো কোনও প্রাণীর বমি, আর কোনওটা হয়তো তৈরি করতে লাগে মানুষের মল। নিচে দেয়া হল তেমনই কিছু খাবারের তালিকা:

কপি লুয়াক: বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি। এই কফি বীজের অম্লতা হ্রাস করে সুস্বাদু করে তুলতে গন্ধগোকুলকে তা খাওয়ানো হয়।
তাদের খাদ্যনালীতে কফি বীজ হজম হয় না। উপরন্তু খাদ্যনালীর উৎসেচক কফি বীজের অম্লতা, প্রোটিন এবং ক্যাফেইনের মাত্রা কমিয়ে দিয়ে স্বাদ বাড়িয়ে তোলে। এরপর গন্ধগোকুলের মল থেকে ওই বীজ সংগ্রহ করে তৈরি হয় কফি।

বেবি পুপ সসেজ: সসেজ আমাদের অনেকেরই প্রিয়। তবে এই সসেজ প্রস্তুত করতে কী লাগে জানেন? এই সসেজ বানানোর জন্য এক ধরণের ব্যাকটিরিয়া কাজে লাগান বিজ্ঞানীরা। যা শিশুদের মলে পাওয়া যায়।

শিকা: দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজে এই খাবারের বিশেষ জনপ্রিয়তা রয়েছে। এটা একটা ঐতিহ্যবাহী খাবার।
ভুট্টাবীজ দিয়ে তৈরি বিশেষ এই খাবার বানানোর আগে বীজগুলোকে শিকা কর্মীরা নিজের লালা দিয়ে সিক্ত করে থাকেন।
লালায় উপস্থিত উৎসেচক ভুট্টাবীজের ফারমেন্টেশনে সাহায্য করে।

মধু: মধুর কথা তো সকলেই জানেন। অতি সুস্বাদু খেতে এই মধু কিন্তু আসলে মৌমাছির ‘বমি’।

শেল্যাক: সাধারণও কোনও কিছু উজ্জ্বল করার কাজে ব্যবহৃত হয় প্রাণীজাত এই উপাদানটি। এই নামটির সঙ্গে অপরিচিত হলেও আমরা তা সকলেই খেয়েছি। শেল্যাক দিয়ে ক্যান্ডি বা চকোলেটের আস্তরণ তৈরি করা হয়। এই উপাদানটি লাক্ষা কীটের লালাগ্রন্থি থেকে নির্গত হয়।

পান্ডা ডাং গ্রিন টি: নাম থেকেই আন্দাজ করা যায় খাবারের প্রকৃতি। বাঁশ গাছ পান্ডা প্রাণীদের খুব পছন্দের খাবার।
যার মাত্র ৩০ শতাংশ হজম করতে পারে তারা। বাকি পুষ্টিগুণ মলের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। চিনের সিংচুয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সেই মলকেই চা চাষে সার হিসাবে ব্যবহার করেন। এতে ক্যানসার প্রতিরোধক ক্ষমতা রয়েছে বলে গবেষকরা জানান।-আনন্দবাজার
১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে