সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭, ০৯:২৬:১৭

সিনেমার শুটিং শেষে পোশাকগুলো কী হয়?

   সিনেমার শুটিং শেষে পোশাকগুলো কী হয়?

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: সিনেমার পর্দা যেন ঘোড়ার পিঠে চড়ে জামা খোলার মতো সেই সার্কাসের খেলা। প্রত্যেকটা দৃশ্যে নতুন নতুন পোশাকের ঝলক। সারা ছবিতে নায়ক-নায়িকার পরা সমস্ত পোশাক একত্র করলে একটা জামাকাপড়ের দোকান খুলে ফেলা যায় অনায়াসে। এর মধ্যেও কিছু পোশাক থাকে যা দর্শককূলের মনে দাগ কেটে যায়। ‘চন্না মেরেয়া’ গানে অনুষ্কার সেই বিয়ের সাজ অথবা ‘বাজিরাও মস্তানি’র ‘দিওয়ানি মস্তানি’ গানে দীপিকার সেই অপূর্ব কস্টিউমের কথা ভোলা যায় না।


কিন্তু সেই সমস্ত ড্রেসের জীবনকাল তো মোটে কয়েক সেকেন্ড, বড়জোড় কয়েক ঘণ্টা। তারপর কী হয় এই সমস্ত পোশাকের? বহুমূল্য এই পোশাকগুলো আর কখনও পরতে দেখা যায় না নায়ক-নায়িকাদের। তা হলে কারা পরেন এই পোশাকগুলো? নাকি আর কখনও ব্যবহারই হয় না?


আসলে শুটিং শেষ হয়ে যাওয়ার পর বেশির ভাগ সময়ই প্রডাকশন হাউসের স্টোর রুমে রাখা থাকে সেই সমস্ত পোশাক। প্রতিটি ছবির জন্য আলাদা আলাদা বাক্স তৈরি করা হয়। উপরে ছবির নামের স্টিকার লাগানো থাকে। স্টিকার লাগানো সেই বাক্সের মধ্যেই রাখা থাকে পোশাকগুলো। তা হলে কী এত সব দামী পোশাক এ ভাবেই বাক্সবন্দি হয়ে পড়ে থাকে দিনের পর দিন?


উত্তরটা অবশ্যই ‘না’। আসলে, সাধারণ মানের পোশাকগুলোই এ ভাবে রাখা হয়। পরে তা সেই প্রডাকশনেরই অন্য ছবির পার্শ্ব চরিত্রদের পরতে দেওয়া হয়।
তাহলে দামী ডিজাইনার পোশাকগুলোর ভবিষ্যৎ কী?


‘বম্বে ভেলভেট’-এ ৩৫ কেজির একটি সবুজ গাউন পরেছিলেন অনুষ্কা শর্মা। ‘চন্না মেরেয়া’ গানে তাঁর পরা লেহেঙ্গাটির ওজন ছিল ১৭ কেজি। বেশির ভাগ সময় শুটিংয়ের পর এই ডিজাইনার পোশাকগুলি নিজেদের স্টুডিওর জন্য ফেরত নিয়ে নেন ডিজাইনাররা।
আবার অনেক সময় উল্লেখযোগ্য সিনেমার বিখ্যাত কোনও পোশাক নায়ক-নায়িকা নিজের কাছেই সংগ্রহ করে রেখে দেন। মাঝেমধ্যে নিলামও হয় এই পোশাকগুলির।-আনন্দবাজার
২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে