এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: আমার একটা নয়, দু’টো বিষয় কনফেস করার আছে। প্রথমটা একটু মজার তাই সেটা দিয়েই শুরু করি। আমি বাড়িতে ঘুমনোর চেয়ে শ্যুটিংয়ে ঘুমোতে বেশি পছন্দ করি। তার পিছনে একটা কারণ আছে। আসলে এখানে আমি যেহেতু একা থাকি বাড়িতে, তাই ঘুমনোর সময়ে অলওয়েজ একটা ভয় থাকে যে সকালে কল টাইম মিস করব না তো? কারণ আমাকে তো কেউ ডেকে দেওয়ার নেই এখানে। আর অ্যালার্ম দিলেই যে ঘুম ভাঙবে সেটা সব সময় নাও হতে পারে। তাই একটা টেনশন থাকে, ঠিক সময়ে উঠতে পারব কি না। ঘুমটাও ডিস্টার্বড হয়। কিন্তু শ্যুটিংয়ে থাকলে মেক আপে রুমে খুব আরাম করে ঘুমোতে পারি নিশ্চিন্তে। আমি জানি যে যতই ঘুমোই না কেন, ঠিক শটের আগে অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটরদের কেউ এসে ডেকে দেবে। খুব বেশিক্ষণ অবশ্য ঘুমনো হয় না শ্যুটিংয়ে, অল্প সময়ের জন্যই ঘুমোতে পারি। শটের মাঝখানে কতক্ষণই বা সময় পাওয়া যায় কিন্তু যতটুকু সময়ই পাই না কেন, একটু রিল্যাক্স করে ঘুমোতে পারি। সেই জন্যেই শ্যুটিংয়ের ঘুমটা বেশি পছন্দ করি।
এবার আরও একটা বিষয় কনফেস করতে চাই। সেটা একটু সিরিয়াস ব্যাপার। আমি বন্ধু হতে পারি না একদম। হয়তো কাউকে খুব ভাল লাগল, মনে হল এর সঙ্গে কথা বলব, একটু মিশব। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বা তার কিছু অ্যাটিটিউড দেখে খুব ভয় পেয়ে যাই। তখন আমি গুটিয়ে যাই ভিতর ভিতর বলা যায়। একবার মনে হয় যে ওকে বন্ধু করব? তার পরেই মনে হয় যে না ওর সঙ্গে বোধহয় ঠিক বনিবনা হবে না। তার চেয়ে বেটার হয় যে নিজের মতোই থাকি। এরকম একটা ব্যাপার আছে। তাই আমার বন্ধুর সংখ্যা খুব সীমিত। দু’একজন ছাড়া বাকি সবাইকে আমি আমার পরিচিত বলতেই পারি কিন্তু বন্ধু হিসেবে তাদের নাম নেওয়া যায় না।-এবেলা
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এম,জে