এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: শিল্পীর আঁকা ছবিতে মন জুড়ায়েছে হাজারো দর্শনার্থীর। তবে সেই শিল্পী হিসেবে আমার এতোদিন মানুষদের কেই দেখতাম। কিন্তু কাল ক্রমে এবার সেই তালিকায় স্থান পেয়েছে বন্য পশু-পাখিরা। এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে আমেরিকার চিড়িয়াখানায়। ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ড চিড়িয়াখানায় হাতি সিংহ থেকে সাপ, বানর সব প্রাণীই যে যার ইচ্ছামতো রাঙিয়ে তুলল ক্যানভাস। আর সেই সব ছবিই এখন নিলামে তোলা হল!
তবে একটি কিংবা দুটি ছবি নয় একেবারে ৪২টি ছবি এঁকে ফেলেছেন ওকল্যান্ড চিড়িয়াখানার বাসিন্দারা। সেই সব ছবি এখন অনলাইন নিলামে তোলা হয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে এই নিলাম শুরু হয়েছে। ন্যূনতম দর ২০০ ডলার থেকে শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, প্রথম চারদিনে বেচাকেনা বেশ আশাব্যঞ্জক। নিলাম চলবে চলতি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত।
জুলাই এবং অগস্টে এই দুই মাস এসকল ছবি আঁকা শুরু হয়েছিল। চিড়িয়াখানার এক শীর্ষ কর্মকর্তা মার্গারেট রাউসার জানালেন, হাতি সিংহ, জিরাফ, বানর, ছাগল, সাপ, তোতা, আরশোলা-সহ অনেক পশুরাই অংশ নেয় এই ছবি আঁকার আসরে। মার্গারেটের সংযোজন, “কোনও প্রাণীকেই ছবি আঁকতে বাধ্য করা হয়নি বা আঁকার আসরে যেতে বাধ্য করা হয়নি।”
ঠিক কী ভাবে ছবি আঁকল জঙ্গলের রথী-মহারথীরা? এই সম্পর্কে মার্গারেট জানালেন, চিড়িয়াখানার কর্মীরা পশু-পাখিদের ছবি আঁকতে সাহায্য করেছেন। পশুদের সামনে সাদা ক্যানভাস ধরা হয়েছিল। রাখা হয়েছিল রং-তুলিও। কেউ তুলি ধরে রঙ মাখিয়েছে ক্যানভাসে। কেউ আবার তুলি ছাড়াই নিজের খেয়ালখুশিতে সাদা আর্ট পেপারে ছাপ ফেলেছে।
তবে এ বছরই প্রথম নয় অবশ্য। ওকল্যান্ড চিড়িয়াখানায় গত বছর থেকে এই অভিনব শিল্পচর্চা শুরু হয়েছে। প্রথম বার মাত্র ১২টি ছবি নিলাম করে ১০ হাজার ডলার আয় হয়েছিল। এ বার ৩২টি ছবি নিলামে তুলে উপার্জনের অঙ্কটা কোথায় যেতে পারে আঁচ করা খুবই কঠিন ব্যাপার। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণেই এই অর্থ কাজে লাগানো হবে।
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/