এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিয়ে বাড়ির খাবার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বরপক্ষ। তারই জেরে বিয়ে ভেঙে দিলেন স্বয়ং কনে। দুপক্ষকে একসঙ্গে বসিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করে পুলিশও। অবশ্য লাভ কিছুই হয়নি। সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন ভারতের বেঙ্গালুরুর পাত্রী। খবর ইন্ডিয়ান টাইমসের।
গণ্ডগোলের সূত্রপাত শনিবার রাতে, প্রি-ওয়েডিং সেরিমনিতে। বেঙ্গালুরুর একটি ওয়েডিং হলে রিসেপশনের ব্যবস্থা করেছিল কনেপক্ষ। তবে, সেদিন জনা তিরিশেক আমন্ত্রিতকে নাকি খাবার না খেয়েই ফিরে যেতে হয়। তাতেই তুমুল হই-হট্টগোল শুরু করেন বরযাত্রীরা।
তাদের এমন ব্যবহারেই এই পাত্রকে বিয়ে করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন কনে। রোববার বিয়ের ঠিক আগে তিনি জানিয়ে দেন এই বিয়ে তিনি করবেন না। দুপক্ষের পরিবারের মধ্যে সমঝোতা হয়। বোঝানোর চেষ্টা করে পুলিশও। তবে মেয়েটি নিজের অবস্থান থেকে একচুলও নড়েননি।
মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে খবর। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলে এই নিয়ে বসে যায় বিতর্কসভা। বর ও তার পরিবার টক শো-তে উপস্থিত থেকে দাবি করে, কোনও কারণ ছাড়াই বিয়ে ভেঙেছেন পাত্রী। রিসেপশনের হৈচৈ প্রসঙ্গ শুধুই একটা অজুহাত। এমনকী বর এও দাবি করেন যে, কনে নাকি তাকে তার পরিবারের থেকে আলাদা থাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তা মানা হয়নি বলেই মেয়েটি বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন বলে দাবি করেন ওই পাত্র।
মেয়েটিকে বোঝানোর জন্য সংবাদমাধ্যমের কাছেও আর্জি জানায় বরপক্ষ। তবে, কনের বাড়ির লোকজন সে সবে কান দেননি। কনে পরে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, যে পাত্র তার ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়াননি, তার সঙ্গে বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
১০ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস