রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৭, ০৮:২২:৩৮

জানেন, ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রথম অ্যাডমিরাল ছিলেন এক বাঙালী!

জানেন, ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রথম অ্যাডমিরাল ছিলেন এক বাঙালী!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : তিনি ভারতের ইতিহাসের অংশীদার৷ তাই ধুসর হয়ে যাওয়াই যেন নিয়তি৷ বৈশাখী বাঙালি সংস্কৃতি রক্ষা ও পরিধান-খাদ্যে সচেতনতার মাত্র একটি দিনে তাকে মনে করা খুব কঠিন৷ তবুও তিনি রয়েছেন৷

নীল সাগরের বুকে দুটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বীরে মতো লড়াই করেছিলেন৷ অসমসাহসী সেই বীর নৌ সৈনিক অধর কুমার চট্টোপাধ্যায় (চ্যাটার্জি) ছিলেন প্রথম ভারতীয় অ্যাডমিরাল৷ উল্লেখ্য, ‘অ্যাডমিরাল’ নৌবাহিনীর সর্বোচ্চ পদ।

ভারতের স্বাধীনতার পর পর্তুগালের সঙ্গে প্রথম জল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল ভারত৷ গোয়া মুক্তি অভিযান বা অপারেশন বিজয় নামেই সেটি সমাধিক পরিচিত৷ ১৯৬১ সালের ১৮-১৯ ডিসেম্বরের লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন রিয়ার অ্যাডমিরাল অধর কুমার৷ সেই লড়াইয়ে ভারতের কাছে হেরে গোয়ার দখল ছেড়েছিল পর্তুগাল৷

১৯১৪ সালে জন্ম হয় অধর কুমার চট্টোপাধ্যায়ের৷ ১৯৩৩ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক হন তিনি৷ পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না তার। তাই কলেজের দেওয়ালে রয়েল-ইন্ডিয়ান নেভি(রাজকীয়-ভারতীয় নৌ বাহিনী)-তে যোগ দেওয়ার বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেছিলেন তরুণ অধর কুমার৷ ডাক এসেছিল নীল সাগরের৷ তিনি যোগ দিয়ে ছিলেন নৌ বাহিনীতে৷

১৯৪০ সাল৷ ইউরোপে তখন হিটলারের প্রবল রণহুঙ্কার৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ই সাবমেরিনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে যোগ্যতার পরিচয় দেন যুবক অধর কুমার৷ ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ভারতীয় নৌ বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাকে৷

১৯৫৯ সালে রিয়ার অ্যাডমিরাল পদ পান৷ তারপরেই জলযুদ্ধে একবার গোয়া (১৯৬১) ও পাকিস্তানের (১৯৬৫) সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে ভারত৷ দুটি লড়াইতে বিশেষ কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন অধর কুমার চট্টোপাধ্যায়৷ ১৯৬৬ সালের ৪ মার্চ৷ এক নজির তৈরি হল৷ জল যুদ্ধের কুশলী যোদ্ধা এই বাঙালি নৌ সৈনিক পেলেন ভারতের নৌ বাহিনীর সর্বোচ্চ পদ ‘অ্যাডমিরাল’।

১৯৭০সালে নৌ বাহিনী থেকে অবসর নেন অধর কুমার৷ পরে অবসরকালীন জীবন কাটান দিল্লিতে৷ কর্মসূত্রে ছিলেন আইএনএস দিল্লি (INS Delhi ) যুদ্ধ জাহাজে৷ এই যুদ্ধ জাহাজ গোয়া দখল অভিযানে নিয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা৷ ২০০১ সালে দিল্লিতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রথম বাঙালি নৌ সেনাপতির৷
১৬ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে