শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭, ০২:৪৪:৪৭

লিপস্টিক ও রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারে সাবধান!

লিপস্টিক ও রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারে সাবধান!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে কে না চায়। সেক্ষেত্রে নারীদের প্রধান আকর্ষণ সাজগোজের দিকে।

কিন্তু এই সাজগোজই হয়ে উঠতে পারে মরণঘাতী রোগের কারণ। আপনার ব্যবহৃত লিপস্টিক বা রং ফর্সাকারী ক্রিমেই লুকিয়ে আছে নীরব ঘাতক।

সম্প্রতি ভারতের সেন্টার অব সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (সিএসই) এমন তথ্যই প্রকাশ করেছে।

প্রতিদিনই টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায় হাজারও রকম প্রসাধনীর বিজ্ঞাপন। বিভিন্ন তারকাদের দিয়ে প্রচার করা হয় রং ফর্সাকারী ক্রিমের বিজ্ঞাপন। এ সকল বিজ্ঞাপন দেখে দর্শকরা অজান্তেই হারিয়ে যাচ্ছে রূপের সাগরে।

এর অকর্ষণে অনেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ছেন বিষাক্ত রং ফর্সাকারী ক্রিম ও লিপস্টিক ব্যবহারের দিকে৷ অবাক হলেও সত্য, এর ফলে নিজেরাই ডেকে নিয়ে আসছেন ক্যান্সারের মতো মরণঘাতী রোগকে!

সিএসই’র দূষণ নজরদারি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের ৪৪ শতাংশ ফেয়ারনেস ক্রিমে রয়েছে পারদ৷ যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকারক৷ ৫০ শতাংশ লিপিস্টিকে রয়েছে ক্রোমিয়াম যা ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম কারণ।

এই গবেষণায় ৭৩ ধরনের প্রসাধনী পণ্যকে চারটি বিভাগে ভাগ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩২টি রং ফর্সাকারী ক্রিম (যার মধ্যে ২৬টি নারীদের ও ৬টি পুরুষদের), ৩০টি লিপস্টিক, ৮টি লিপ লাইনার ও ৩টি এন্টি-অ্যাজিনিক ক্রিম।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, এ সকল প্রসাধনীতে রয়েছে সীসা, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম ও নিকেল। এ পদার্থগুলোর সবকটিই ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।

সিএসই’র প্রধান পরিচালক সুনিতা নারায়ণ বলেন, ‘প্রসাধনী পণ্যে পারদের উপস্থিতি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। প্রসাধনী পণ্যে এগুলোর উপস্থিতি সম্পূর্ণভাবে অবৈধ ও বেআইনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘(পরীক্ষাকৃত) ৫৬ শতাংশ পণ্যে পারদ নেই। ভারতের প্রসাধনী কোম্পানিগুলো চাইলেই ক্ষতিকারক দ্রব্যগুলো এড়িয়ে চলতে পারে।’
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এম.জে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে