বুধবার, ১০ মে, ২০১৭, ০২:৫২:২৫

ছিলেন মেকানিক, এখন দুবাইয়ের গগনচুম্বী বুর্জ খলিফায় ২২ অ্যাপার্টমেন্টের মালিক!

 ছিলেন মেকানিক, এখন দুবাইয়ের গগনচুম্বী বুর্জ খলিফায় ২২ অ্যাপার্টমেন্টের মালিক!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: ভারতের কেরালায় জন্ম নেওয়া জর্জ ভি. নেরিয়াপারাম্বিল এক সময় মেকানিক ছিলেন। এখন দুবাইয়ের গগনচুম্বী বুর্জ খলিফায় ২২টি অ্যাপার্টমেন্টের মালিক তিনি।

বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও ভারতীয় ব্যবসায়ী জর্জের গল্পটি একদম সত্য।

১৯৭৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় যান জর্জ। মরু-অধ্যুষিত এই এলাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্রের ব্যবসার বিপুল সম্ভাবনার বিষয়টি অচিরেই বুঝতে পারেন তিনি।

এক সময় মিস্ত্রিগিরি থেকে নিজেই ব্যবসায় নামার পরিকল্পনা নিলেন জর্জ। ব্যবসায় নেমে ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন সিইও গ্রুপ গড়ে তোলেন। তাঁর এই প্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে দাঁড়িয়ে যায়।

১১ বছর বয়সে জর্জ তাঁর বাবাকে ফসল বিক্রির কাজে সাহায্য করতেন। বাজারে যেতেন। অল্প বয়সেই ব্যবসার কায়দা রপ্ত করেন। তুলার ফেলনা বীজ কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা বের করেন।

কিশোর বয়সে রপ্ত ব্যবসার এই শিক্ষা নিয়ে শারজায় পাড়ি জমান জর্জ। অর্জন করেন ঈর্ষণীয় সাফল্য। গড়ে তোলেন বিপুল সম্পদ। তাঁর অ্যাপার্টমেন্টের সাজসজ্জায় সোনা পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে।

এক সময়ের বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফায় জর্জের এতগুলো অ্যাপার্টমেন্টের মালিক হওয়ার পেছনে একটা মজার ঘটনা আছে। একজন তাঁকে খোঁচা মেরেছিলেন। খোঁচাটা খুব গায়ে লেগে ছিল তাঁর।

জর্জ বলেন, একদিন গগনচুম্বী বুর্জ খলিফার সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর এক আত্মীয় ঠাট্টা করে বলেছিলেন—এই হলো বুর্জ খলিফা। কিন্তু তুমি ভেতরে যেতে পারবে না।

বুর্জ খলিফার ভেতরে প্রবেশ করে ছেড়েছেন জর্জ। শুধু তা-ই নয়, এখন সেখানকার বাইশ-বাইশটি অ্যাপার্টমেন্টের মালিক তিনি।

জর্জ জানালেন, ২০১০ সালের কথা। বুর্জ খলিফায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া হবে বলে সংবাদপত্র বিজ্ঞাপন দেখেন তিনি। সুযোগটি লুফে নিতে একটুও সময় নেননি তিনি।

জর্জ বলেন, ‘সেদিনই অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিই। পরদিন থেকে থাকা শুরু করি।’

এখন বুর্জ খলিফায় ৯০০ টির মধ্যে ২২টি অ্যাপার্টমেন্টের মালিক জর্জ। আরও অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে চান তিনি।

ব্যবসা ও সম্পত্তি তো কম হলো না! জর্জ সমাজসেবাও করতে চান। কেরালার ত্রিবান্দ্রম থেকে কাসারাকদ পর্যন্ত একটি খাল তৈরি করতে আগ্রহী তিনি। কারণ, এই খাল প্রকৃতির উপকারে আসবে। খালে পানি আসবে। পানি থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করা যাবে। সেচের কাজ করা যাবে। খালে মাছ চাষ করা যাবে। খালের প্রত্যেক অংশ কাজে লাগাতে চান তিনি।
এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে