রবিবার, ০২ জুলাই, ২০১৭, ০৫:২২:১৪

রমজানে মসজিদের ভেতর এ কি করলেন যুবক!

রমজানে মসজিদের ভেতর এ কি করলেন যুবক!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই নাকি সন্ধ্যা হয়। এ প্রবাদ হয়তো জানতেন না ওই আল ওয়াহাবি। কিন্তু এর মর্মার্থ তার থেকে ভাল বোধহয় আর কেউ জানলেনও না। কেননা মসজিদেই তার ঘনঘন বাতকম্মো হয়। আর তার জেরেই মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হল ওই ব্যক্তিকে।

ইসলামাবাদ হেরাল্ডে-এর এ খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। শরিয়তি আইনের নানা নির্মম রূপ বিভিন্ন সময়ে দেখেছে দুনিয়া। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এই কারণের জন্যও কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া সম্ভব? বিচারক অবশ্য তা দিতে দ্বিধা করেননি।

জানা যাচ্ছে, এই রায় ঘোষণার আগে বহুবার সতর্ক করা হয়েছিল ওই ব্যক্তিকে। মোট ৬টি আলাদা মসজিদ থেকে অন্তত ১৭ বার তাকে বহিষ্কৃত করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। বিচারকের মতে, বহু মানুষকে এই কর্মের জন্য মসজিদ ছাড়তে বাধ্য করেছেন ওই যুবক। যা ধর্মীয় বিরোধিতারই শামিল। আর তাই ‘আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী’ তার শাস্তি হওয়াই বাঞ্ছনীয়।

আত্মপক্ষ সমর্থন করে ওই যুবক জানিয়েছিলেন, তিনি বিরল এক অসুখে আক্রান্ত। তার জেরেই বারবার ঘটেছে এই বিপত্তি। কোনও উকিলই তার হয়ে লড়ার সাহস দেখাননি। যেখানে ধর্ম বিরোধিতার প্রশ্ন উঠেছে, সেখানে কেউই পাশে এসে দাঁড়াননি। এবং খোদ ওই ব্যক্তিও বিচারকের রায়ের বিরোধিতা করেননি।

তিনিও জানিয়েছেন, বহুবার তিনি এ বিপত্তি এড়ানোর চেষ্টা করেছেন। পায়ুতে ‘ট্যাম্পুন’ গুঁজেও আটকানোর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। উল্টে আরও দোষী হয়েছেন। আল্লাহর কাছে তিনি নিজে এ জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।

তার দুই স্ত্রী ও সন্তানদের যেন আল্লাহ ক্ষমা করেন, এটাই এখন একমাত্র কামনা তার। অন্যান্যদের মতেও, যেভাবে ধর্ম বিরোধিতা করেছেন ওই ব্যক্তি সেই তুলনায় স্বাভাবিক মৃত্যুদণ্ড অত্যন্ত লঘু শাস্তি। পাথর ছুড়ে ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা উচিত বলেই মত অনেকের। - সংবাদ প্রতিদিন
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে