শুক্রবার, ০৭ জুলাই, ২০১৭, ০৮:২৩:০২

ভাই বলে বুকে জড়িয়ে...এরপর যা ঘটলো

ভাই বলে বুকে জড়িয়ে...এরপর যা ঘটলো

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: বিজয় রায়, কলকাতা: ফেসবুকের একটা পোস্ট৷ তাও আবার বছর ১৭ র এক কিশোরের ফেসবুকে৷ আর সেই পোস্টকে কেন্দ্র করেই এবার সরগরম রাজ্য৷ দিকে দিকে জ্বলছে আগুন৷ ক্ষোভের আগুন৷ অসন্তোষের আগুন৷ সেই আগুনেই ঝলসে যাচ্ছে সম্প্রীতি৷ তবে যে সোশ্যাল সাইট নিয়ে এত হইচই, সেই ফেসবুকেই এবার সম্প্রীতির পক্ষে দাঁড়িয়েছে যুবসমাজ৷

চলছে একের পর এক ছবি আপলোড৷ এর মধ্যে সবচেয়ে যে ছবিটি বেশি শেয়ার হয়েছে তা হল এক হিন্দু ও এক মুসলমান ব্যক্তির একে অপরকে জড়িয়ে ধরার ছবি৷ তাতে ক্যাপশন, একবার ভাই বলে জড়িয়ে ধরলেই হয়…৷ ছবি আপলোড করেছে সৌরভ পাল নামের এক তরুণ৷ বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত সৌরভের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল৷

শুধু ছবি নয়, সম্প্রীতি অটুট রাখতে ফেসবুকে লাগাতার স্ট্যাটাস আপলোড করছে একের পর এক ইউজার৷ সেই স্ট্যাটাস শেয়ার করে ছড়িয়ে দিয়েছে বাকিরা৷ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সমালোচনা করতে গিয়ে কবিতা লিখে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কবি শ্রীজাত৷ এবার ফের কলম ধরলেন তিনি৷এবার কবির লেখায় বেরিয়ে এল, ঘরের পাশে আরশিনগর। বসত করে কে? মারবে ব’লে তোমায়, কারা ধর্ম জ্বেলেছে। কিন্তু তারা বিধর্মী সব, ঘুণের মতো ক্ষয়…৷

এর মাঝে শুক্রবারের তারিখটাও কাজে লাগিয়েছে বহু তরুণ-তরুণ৷ আজ, ২০১৭-র ৭ জুলাই৷ সুতরাং নম্বরের দিক থেকে দেখতে গেলে তারিখটা হচ্ছে, ৭-৭-১৭৷ আর এটাকেই সকলে লিখছে, সাত সাত এক সাত৷ হিংসার পরাজয়ে ফিরে আসুক শান্তি৷ এই ব্রত এখন প্রচার করে চলেছে সকলে৷

তবে শুধু কবিতা লেখা বা ছবি আপলোড নয়৷ ধর্ম নিয়ে হানাহানিতে যে বা যারা উসকানিমূলক কথা প্রচার করছেন খুঁজে বের করে তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ফেসবুকেই রিপোর্ট করা হচ্ছে৷ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অনির্বাণ চক্রবর্তী৷ বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি৷ সেখানে অনির্বাণ লেখেন, ধর্মের বিরুদ্ধে যারা উসকানি দেবে তাদের সকলের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করব৷ এই ধরনের বেশ কয়েকটি প্রোফাইলের বিরুদ্ধে রিপোর্ট ও দশটির মতো প্রোফাইল ব্লক করেছেন বলেও দাবি অনির্বাণের৷

গত রবিবার মাত্র ১৭ বছরের এক কিশোরের ফেসবুকে একটি ছবি আপলোড করা হয়৷ সেই ছবিকে কেন্দ্র করেই রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট লাগোয়া বাদুড়িয়া৷ সেখান থেকেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে জেলার একটা বড় অংশে৷ পরিস্থিতি এখনও থমথমে৷ কবে সেখানে জাতিধর্মনির্বিশেষে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা আপন ছন্দে ফিরবে তারই অপেক্ষায় ফেসবুক৷ সেই ফেসবুক যাকে কেন্দ্র করে এত হইচই।-কলকাতা
০৭ জুলাই ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে