রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৭, ০৯:৪০:৪৯

যাদের সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না

যাদের সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: চলতি পথে একে অন্যের সঙ্গে মতের মিল না হলেই আমরা তর্কে জড়িয়ে পড়ি। এটা আমাদের রোজকার দিলেন ঘটনার একটা অংশ। এমনকি হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন অনেকেই। ধর্মীয় এবং নানা গবেষণামূলক গ্রন্থে কর্ম ও জীবন বিধানের দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া সংযোজিত হয়েছে আরও বিবিধ বিধান। এরপরও মতের মিল না হলেই ঠিক-বেঠিক না ভেবে আমরা জড়িয়ে পড়ি তর্কে।

অহেতুক তর্কে সামাজিক শান্তি যেমন বিঘ্নিত হয়, তেমনই নিজেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হই। যাদের সঙ্গে ভুলেও তর্কে জড়াবেন না।  

১. শিক্ষকের সঙ্গে তর্কে কোনও ফল লাভ হয় না। শিক্ষকের কাজ জ্ঞান দান করা। শিক্ষার্থী সেই জ্ঞানকে বিনা বিচারে গ্রহণ করবে এমন নয়। কিন্তু শিক্ষাদানের কালে শিক্ষকের সঙ্গে তর্ক শিক্ষাকেই বিব্রত করে।

২. গৃহে আগত অতিথির সঙ্গে তর্ক করা ঠিক নয়। তাছাড়া অতিথি ক্ষণিকের। তিনি যতটুকু সময় আপনার গৃহে আতিথ্য স্বীকার করছেন, সেই সময়টুকু তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করাটাই শ্রেয়।

৩. মা সর্বদাই তর্কের ঊর্ধ্বে। তিনিই প্রথম শিক্ষক। তার সঙ্গে তর্ক করা মানে নিজের অস্তিত্বের সঙ্গে তর্ক করা।

৪. একই কথা প্রযোজ্য পিতার ক্ষেত্রেও। তিনিও শিক্ষক। এবং জনক। তার সঙ্গে তর্ক করলে নিজেকেই অপমান করা হয়।

৫. একই ভাবে ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে তর্কও অর্থহীন। যদি তেমন পরিস্থিতি আসে, যেখানে সন্তানের সঙ্গে তর্ক অনিবার্য, সেখানে চুপ করে যাওয়াই শ্রেয়। কারণ এই পরিস্থিতির স্রষ্টা আপনিই। আপনার শিক্ষার ত্রুটিই সন্তানকে বৃথা তার্কিক করে তুলেছে।

৬ স্ত্রীও তর্কের ঊর্ধ্বে। কারণ তিনি একাধারে জননী, শিক্ষিকা ও সহচরী। তিনি আপানার জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। তার সঙ্গে বৃথা তর্কে জড়িয়ে পড়া মানে নিজের জীবনকেই অর্থহীন প্রমাণ করা।

৭. পরিচারকের সঙ্গে তর্ক জড়ানো ঠিক নয়। তিনি তার শ্রম দিয়ে আপনার সেবা করে চলেছেন। আপনার স্বাচ্ছন্দ্যের অনেকটাই তার উপরে নির্ভরশীল। তাকে তর্কে জড়ানো মানে নিজেরই স্বাচ্ছন্দ্যকে বিঘ্নিত করা।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এপি/ডিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে