বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০১৭, ০৯:২৬:৫২

‘বাঁচাও আমায়’ লেখা নোট, তারপর কী করলেন বিমানসেবিকা?

‘বাঁচাও আমায়’ লেখা নোট, তারপর কী করলেন বিমানসেবিকা?

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: ফ্লাইট অ্যাটেন্ড করা তাঁর কাজ। কোথাও কোনও যাত্রীর কোনও রকম অসুবিধা হচ্ছে কিনা। এসব ব্যাপারে সব সময় সতর্ক থাকেন আলাস্কান এয়ারলাইন্সের কর্মী শীলা ফ্রেডরিক। সেদিনও সান ফ্রান্সিসকো যাওয়ার বিমানে তাই করছিলেন শীলা।

আচমকা তাঁর নজর যায় বিমানের সিটে বসে থাকা এক ১৪-১৫ বছরের মেয়ের উপর। এক ধোপদুরস্ত পোশাক পড়া ব্যক্তির পাশে বসে রয়েছে মেয়েটি। কিন্তু তাঁর পোশাক যথেষ্ট অপরিচ্ছন্ন। তা থাকতেই পারে। কিন্তু মেয়েটির চোখের চাহনি বড় অদ্ভুত ছিল। যেন কিছু একটা বলতে চাইছিল শীলাকে। কিন্তু পাশের লোকটার জন্য বলে উঠতে পারছে না।

কী করা যায়? কেমন করে জানা যায় মেয়েটার মনের কথা? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল শীলার মাথায়। হঠাৎ একটি উপায় মাথায় আসে তার। মেয়েটির পাশ দিয়ে বিমানের টয়লেটের দিকে যান শীলা। সেখানে একটি নোটপ্যাড ও পেন রেখে আসেন।

টয়লেট থেকে বেরিয়েই মেয়েটিকে সেখানে যেতে ইশারা করে দেন। তাঁর ফিরে আসার কিছুক্ষণ পর মেয়েটি টয়লেটে প্রবেশ করে। সে ফিরে আসার পর আবার বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন শীলা। খানিকটা সময় কাটিয়েই টয়লেটে ফিরে যান তিনি। নোটপ্যাড খুলে দেখেন তাতে লেখা ‘বাঁচাও আমায়’।

আর সময় নষ্ট করেননি এই বিমানসেবিকা। সঙ্গে সঙ্গে পাইলটকে গিয়ে সমস্ত কথা জানান। তিনি আগে থেকেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাখেন। সান ফ্রান্সিসকো বিমানবন্দরে নামামাত্র উদ্ধার করা হয় মেয়েটিকে। গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর পাশের ব্যক্তিকে। জানা যায়, বড় মাপের শিশু পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত ওই ব্যক্তি।  

এ ঘটনার কিছুদিন পরই শীলার কাছে একটি ফোন আসে। তা ছিল উদ্ধার হওয়া মেয়েটির। নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য শীলাকে ধন্যবাদ দেয় সে। এ ঘটনাটি ২০১১ সালের, কিন্তু আজও মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে শীলার। আর এখন বিমানসেবিকা শীলা শিশু পাচারের মতো ঘটনা নিয়ে আরও সতর্ক। -সংবাদ প্রতিদিন
এমটিনিউজ২৪/এম.জে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে