এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: শখের মোবাইল ফোন কিনার জন্য উৎসুক মানুষ কত কিছুই না করে। তাই বলে কিডনী বিক্রি, ভাবা যায়! সম্প্রতি চীনের তৈরি একটি আইফোনের নতুন মোডেল কেনার জন্য দুইজনকে কিডনী বিক্রি করেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস।
খবরে বলা হয়, চীনের উয়ু নামের এক ব্যক্তি নতুন আইফোন কেনার ইচ্ছার কথা তাঁর বন্ধু হুয়াংকে জানান। কিন্তু আইফোন কেনার সামর্থ্য না থাকায় কিডনি বিক্রি করার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে অবৈধ অঙ্গ-প্রত্যক্ষ ব্যবসায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগও করেন। তাদের নানজিংয়ের এক হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য আসতে বলা হয়। ১২ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে এসে দেখেন সে প্রতিনিধি আসেনি। তখন উয়ু তার কিডনি বিক্রির পরিকল্পনা বাদ দিলেও হুয়াং সিদ্ধান্ত বদলাননি। বন্ধুর কিডনি বিক্রি ঠেকাতে উয়ু পুলিশকে ফোন করেন। তারপর থেকে পলাতক আছেন হুয়াং।
স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে কিশোর ও তরুণদের মধ্যে মরিয়া হয়ে ওঠার লক্ষণ অবশ্য এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০১২ সালে চীনের এক তরুণ আইফোন ও আইপ্যাড কেনার জন্য নিজের কিডনি বেচতে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পা দিয়েছিল। এ কাজে জড়িত থাকার দায়ে সাতজনের কারাদণ্ড হয়।
২০১৩ সালে চীনের এক দম্পতির বিরুদ্ধে আইফোন ও বিলাসী পণ্য কিনতে নিজেদের কন্যাশিশুকে বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছিল। দেশটির সরকারি কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেন, ঝাং ও তেং দম্পতি প্রায় ছয় লাখ টাকার বিনিময়ে তাদের কন্যাশিশুকে বিক্রির জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়। ইন্টারনেট, আইফোন ও অন্যান্য বিলাসী পণ্য কিনতে তারা এই টাকার সিংহভাগ খরচ করেছে। ওই দম্পতির ব্যাংক হিসাব ও ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনেও এর প্রমাণ রয়েছে।
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর