এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: ইরিত্রিয়ার সমস্ত পুরুষকে ন্যুনতম দু’টি বিবাহ করতেই হবে। যদি দেশের কোনও পুরুষ বা নারী এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানান, তা হলে শাস্তি হবে যাবজ্জীবন জেল।’
এই সংক্রান্ত গুজব প্রথম ছাপা হয় কেনিয়ার ওয়েবসাইট ক্রেজি মানডেতে। আর এই খবর পুরো আফ্রিকায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে যাতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে ইরিত্রিয়া সরকার। স্ট্যান্ডার্ড সংবাদপত্র কর্তৃক প্রকাশিত ক্রেজি মানডে সংবেদনশীল কেলেঙ্কারির খবর প্রচারের জন্য খ্যাত। প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ইরিত্রিয়ার গ্র্যান্ড মুফতির অনুমোদিত আইনে বলা হয়েছে, ইরিত্রিয়ার সমস্ত পুরুষকে ন্যুনতম দু’টি বিয়ে করতেই হবে। যদি দেশের কোনও পুরুষ বা নারী এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানান, তা হলে শাস্তি হবে যাবজ্জীবন জেল।
সেখানে আরো বলা হয় দেশে পুরুষের সংখ্যা কমে গেছে। এর আগে দীর্ঘদিন ইথিওপিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের কারণে অসংখ্য পুরুষ হারায় ইরিত্রিয়া। ফলে পুরুষশূন্য হয়ে পড়ছে দেশটি। তাই দেশের স্বার্থেই এই আইন বলবৎ করেছে সরকার।
এই খবরের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ইরিত্রিয়ার এক কর্মকর্তা বলেন, এমনকি আসমারার (ইরিত্রিয়ার রাজধানী) একটি পাগলও খবরটি পড়লে বুঝতে পারবে যে এটা ভুয়া খবর। ইরিত্রিয়ার তথ্যমন্ত্রী ইয়েমানে গেব্রেমেসকেল বলেন, গণমাধ্যম যেভাবে এই বানোয়াট ও হাস্যকর খবরটি আলোড়ন তুলেছে তা রীতিমত ভীতিকর।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, আফ্রিকান দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি হয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় সরকারি বাধা থাকায় অনেকে ইরিত্রিয়া আফ্রিকার দক্ষিণ কোরিয়া বলে অভিহিত করেন। বিবিসি।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস