শুক্রবার, ০৪ আগস্ট, ২০১৭, ০১:১৩:১৫

ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে স্ত্রীর পরকীয়ার কারণেই কি সালমান শাহর মৃত্যু?

ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে স্ত্রীর পরকীয়ার কারণেই কি সালমান শাহর মৃত্যু?

বিনোদন ডেস্ক : সালমান শাহ’র মৃত্যুর পর সারা দেশ কেঁদেছিলো। চলচ্চিত্রের মানুষেরা কেঁদেছিলেন। সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষেরা কেঁদেছিলেন। কিন্তু তার স্ত্রী সামিরার চোখে এক ফোঁটা জলও ঝরতে দেখা যায়নি।

তারমধ্যে বিধবার কোনো রেশমাত্র ছিলো না। শুধু তাই নয়, সালমানেরই এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর স্ত্রী হিসেবে বর্তমানে সংসার করছেন সামিরা। এইসবই প্রমাণ করে সামিরা স্বামীকে ঠকিয়ে পরকীয়া করতেন। আর সেই পরকীয়ার জন্যই সালমান শাহ খুন হয়েছেন।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে গত ১৫ মে দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহ’র মা নীলা চৌধুরী (নীলুফার চৌধুরী)।

সালমান হত্যার তদন্ত বিষয়ক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন নীলা চৌধুরী। সেখানে তিনি পুত্রের খুনের বিচার নিয়ে টালবাহানার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নীলা চৌধুরী বলেছিলেন, ‘কষ্টে আমার বুক ফেটে যায়, গেল ৯ মাসে ১১ বার শুনানির পরও আমার ছেলের মামালার রায় প্রকাশ করা হয়নি। কেন হয়নি সেই জবাবের দাবি নিয়েই আমি সাংবাদিকদের সামনে আজ হাজির হয়েছি।’

সালমান শাহর মৃত্যুকে পরিকল্পিত খুন দাবি করে নীলা চৌধুরী বলেন, ‘সালমানের শরীরে কোনো ক্ষত চিহ্ন ছিলো না যাকে আত্মহত্যা বলা যায়। খালি ইঞ্জেকশন পুশ করে এবং জেসকিন ইঞ্জেকশন দিয়ে, গলায় চাপ দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছিলো। সেই প্রমাণ পুলিশ ঘটনার পরপরই পেয়েছিলো। কিন্তু আজ সব উধাও হয়ে গেছে!’

কেন উধাও হয়েছে বলে আপনি মনে করেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নীলা চৌধুরী বলেন, ‘সালমান শাহ’র স্ত্রী সামিরার পরকীয়া সম্পর্ক এবং চলচ্চিত্রের সিন্ডিকেটের কারণেই আমার ছেলেকে খুন হতে হয়েছে। যারা এই পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন তারাই সব উধাও করিয়েছেন।’

সালমানের মৃত্যুতে স্ত্রী সামিরাকে দায়ী করে সালমানের মা বলেছিলেন, ‌‘সালমান শাহ’র মৃত্যুর পর তার স্ত্রী সামিরা ও তার পরিবারকে আমার পাশে কোনো সময় দাঁড়াতে দেখিনি। স্বামী হারানোর কোনো কষ্টও দেখিনি তার মধ্যে। তাছাড়া সামিরা এখন সালমান শাহ’র এক বন্ধুর স্ত্রী হিসেবে ঘর-সংসার করছে। এটা কি প্রমাণ করে না যে সামিরার পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো? এই পরকীয়ার বলি হলো আমার ছেলে।’

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে